গাজীপুরের ডিসি এস এম তরিকুল ইসলাম শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুই সদস্যের এই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মুশতাকের মৃত্যুতে ‘অপমৃত্যু’ মামলা
শাহবাগে মুশতাকের গায়েবানা জানাজা
মুশতাকের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি বিএনপির
মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
ডিসি বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তদন্ত কমিটির কাজের পরিধি জানিয়ে তিনি বলেন, “মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা আছে কি-না মূলত তা খতিয়ে দেখতেই আভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে।
“এছাড়া তার মৃত্যুতে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা তার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসক/বিশেষজ্ঞরা জানাবেন।”
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে গত বছরের ৬ মে মুশতাককে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে ছয় মাসের বেশি কারাবন্দি অবস্থায় শুক্রবার মারা গেছেন মুশতাক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের।
তবে কীভাবে তার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে।
শুক্রবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাজীপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ।
মুশতাকের মৃত্যুর কারণ জানতে ‘প্রয়োজনে’ তদন্ত কমিটি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানুষের নিরাপত্তার জন্যই, বললেন তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে সমাবেশ
মুশতাকের মৃত্যু: শাহবাগে মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা
পেশায় ব্যবসায়ী মুশতাক অনলাইনে লেখালেখিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। তার সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
তদন্ত শেষে পুলিশ শুধু মুশতাক, কিশোর ও দিদারকে আসামি করে এ মাসের শুরুতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। দিদারুল ও মিনহাজ মান্নান জামিন পেলেও কিশোর ও মুশতাকের আবেদন নাকচ হয় কয়েক দফা।