সোহেলকে শুক্রবার ঢাকার
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ওয়ারী থানা পুলিশ। তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ
জসিম খাসকামরায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে সোহেলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে জবানবন্দিতে হাসান
কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে
থাকা ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, তিনি এখনও জবানবন্দি পড়ে দেখেননি। অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সোহেল
কী বলেছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না।
গত বুধবার রাত ১২টার
দিকে নিজেদের বাসার একটি কক্ষ থেকে ১২ বছর বয়সী হাসানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কয়েক মাস আগে বাবা-মায়ের
ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে ওয়ারীর পদ্মনিধি লেনে খালা আয়েশা ও খালু জামাল ভূঁইয়ার বাসায়
থাকত হাসান। বুধবার মার্কেটে গিয়েছিলেন আয়েশা। তিনি বাসায় ফিরে দরজায় বাইরে থেকে
তালা দেওয়া দেখতে পান।
তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে
হাসানকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান তিনি। ওই বাসা থেকে আনুমানিক এক লাখ টাকা এবং কিছু
স্বর্ণালঙ্কার খোয়া গেছে বলে দাবি আয়েশার।