সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে শুক্রবার অবসরের ঘোষণা দেন ইউসুফ। বলেছেন, জীবনের এই ইনিংসের ফুল স্টপ টানলেন তিনি।
২০০৭
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে পা রাখেন ইউসুফ। রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ৫ রানে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত।
পরের
বছরই ইউসুফের অভিষেক হয় ওয়ানডেতে। ২০১২ সালে দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা এই
ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৫৭ ওয়ানডে ও ২২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
আগ্রাসী
ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য ছিল ইউসুফের। ওয়ানডেতে দুই সেঞ্চুরি ও তিন
ফিফটিতে রান করেছেন ৮১০, স্ট্রাইক রেট ১১৩.৬০। কার্যকর অফ
স্পিনে উইকেট ৩৩টি। টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক নয়; ২২ ম্যাচে রান ২৩৬, উইকেট ১৩টি।
২০১১
সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত দলের সদস্য ছিলেন ইউসুফ। সেই টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচ
খেলে রান করেন ১১৫.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৭৪। বোলিং করেন ৩৫ ওভার, ওভার প্রতি ৪.৭৭ রান দিয়ে নেন কেবল এক উইকেট।
ঘরের
মাঠের সেই বিশ্বকাপ জয় করে ভারত। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের অংশ ছিলেন ইউসুফ। পরের
বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা টি-টোয়েন্টি হয়ে রইল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
২০০১-০২
মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইউসুফের। এই সংস্করণে শেষ ম্যাচ খেলেছেন
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। যা তার ঘরোয়া ক্রিকেটেরও শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল।
প্রথম
শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০ ম্যাচে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি রান করেছেন ইউসুফ। সেঞ্চুরি
১১টি ও ফিফটি ২০টি। উইকেট আছে ২০১টি।
১৯৯
লিস্ট ‘এ’ ও ২৭৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এই দুই সংস্করণে রান সাড়ে ৯ হাজারের
বেশি। ১০ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটি। উইকেট ২২৩টি।
আইপিএলে
ইউসুফের সাফল্য দারুণ নজরকাড়া। ২০০৮ সালের অভিষেক আসরে রাজস্থান রয়্যালসের শিরোপা
জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছিলেন
ম্যাচসেরা।
এরপর
২০১২ ও ২০১৪ আইপিএলের শিরোপাজয়ী দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সদস্য ছিলেন ইউসুফ।
টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটি ও সেঞ্চুরির রেকর্ড কয়েক বছর ছিল তার দখলে।
২০১৪
আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৫ বলে ফিফটি করেন তিনি, যা পরে ২০১৮ সালে ভাঙেন লোকেশ রাহুল (১৪ বলে)। ২০১০ আসরে
তার ৩৭ বলের সেঞ্চুরির রেকর্ড তিন বছর পর ভাঙেন ক্রিস গেইল, ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেন এই ক্যারিবিয়ান।