ক্যাটাগরি

টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখের বেশি মানুষ

আর টিকা নেওয়ার জন্য
নিবন্ধন করেছেন ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯০৫ জন মানুষ।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এমআইএস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এখন পর্যন্ত যারা টিকা
নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৯৬ জনের মাঝে উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে তাদের
কী কী উপসর্গ দেখা দিয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

করোনাভাইরাস মহামারী
থেকে মুক্তির আশায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকার উদ্ভাবিত
করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।

গত ৭ জানুয়ারি সারা
দেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে মহামারী মোকাবেলার সম্মুখযোদ্ধাদের
টিকা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। সঙ্গে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে
দেওয়া হয়। পরে সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের টিকা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া
হয়েছে।

করোনাভাইরাসের টিকাদানের
যে জাতীয় পরিকল্পনা সরকার করেছে, তাতে সারা দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া
হবে।

এখন পর্যন্ত ভারতের
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি
করেছে সরকার। এসব টিকার মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দুই দফায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেশে
এসেছে। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে এসেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতি
মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। এর বাইরে প্রথমেই উপহারের ২০ লাখ
টিকা হাতে আসায় টিকাদান পরিকল্পনায় প্রাথমিকভাবে মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। পরে টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে মাসে ৩৫
লাখ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১৬ দিনেই ২৮ লাখের বেশি টিকা দেওয়া
হয়েছে।

শুক্রবার ও সরকারি
ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে।
ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি
টিকা প্রয়োগ করছেন।

ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের
টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত
রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে
দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরে ৩০ হাজার ৩৫১ জন টিকা নিয়েছেন। ঢাকার ৪৭টি হাসপাতাল
ও কেন্দ্রের টিকা নেওয়ার যে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাতে দেখা গেছে, সবচেয়ে
বেশি ১৬৮০ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে
সবচেয়ে বেশি ৬৩ হাজার ২৪৪ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৭ হাজার ২৩৩
জন, চট্টগ্রামে ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন, রাজশাহীতে ১৮ হাজার ২১৬ জন, রংপুরে ১৬ হাজার ৭০১ জন,
খুলনায় ২৬ হাজার ১৮৬ জন, বরিশালে ৮ হাজার ৫১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৭ হাজার ৯৪১ জন করোনাভাইরাসের
টিকা নিয়েছেন।