ক্যাটাগরি

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের প্রস্তুতি জানালেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশ
প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “চতুর্থ
শিল্প বিপ্লব কিংবা তার পরবর্তী সময়ের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু
প্রস্তুতি দরকার আমরা তা সম্পন্ন করেছি। এক্ষেত্রে যেসব ত্রুটি বিদ্যমান, তা চলতি
বছরের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, পৃথিবীর
অনেক উন্নত দেশ ফাইভ জি প্রযুক্তি চালুর বিষয়টি চিন্তাও করেনি, কিন্তু বাংলাদেশ
২০২১ সালের মধ্যে এ পযুক্তি চালু করতে চায়।

“এই বছরেই সারা দেশে ফোরজি
যাচ্ছে। ২০২৩ সালে আসছে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল। ২০২১ সালেই হাওর-বিল-চর পার্বত্য
অঞ্চল কেবল/স্যাটেলাইট সংযোগের আওতায় আসছে।”

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বলেন, “আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি কেবল চতুর্থ শিল্প বিপ্লবেই সীমিত নয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মাঝে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যে রূপান্তর ঘটানো
দরকার তা নিহিত রয়েছে।”

১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক
টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউপিইউর সদস্য পদ অর্জন এবং ১৯৭৫ এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায়
উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটালাইজেশনের বীজ বপণ করে গিয়েছিলেন
বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার
করে, মোবাইল ফোনকে সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিয়ে এবং ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট
চালুসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ডিজিটাইজেশনের ‘রোপিত বীজটিকে চারা গাছে’
রূপান্তর করেন। 

“২০০৯ থেকে
বর্তমান সময় পর্যন্ত তারই ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের
ধারাবাহিকতায় তা আজ বিরাট মহিরূহে রূপান্তর লাভ করেছে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমাদের তরুণ
প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী, তাদেরকে আগামী দিনের সম্পদে পরিণত করতে হবে। 

মন্ত্রী বলেন,
“জনসংখ্যাই আমাদের বড় সম্পদ। কোভিডকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার ফলে দেশে
৭০ শতাংশ মানুষ ঘরে বসে টেলিমেডিসিন চিকিৎসা নিয়েছে। গ্রামের প্রথম শ্রেণির
শিশুটিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ২০২২ সালের
মধ্যে দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে ডিডিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করার কাজ চলছে।”

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও
খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

“আমরা ইতোমধ্যে সেই
প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী ২৬ মার্চ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
উৎপাদনে আমরা সক্ষম হব।”

তথ্য ও যোগোযোগ
প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন “চতুর্থ শিল্প
বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনসম্পদ জরুরি। এই লক্ষ্যে ৩৯টি হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ
বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”

অন্যদের মধ্যে আইইবির
প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর,
আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), আইইবির ভাইস
প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।