ক্যাটাগরি

মেসি-দেম্বেলের গোলে সহজেই জিতল বার্সা

প্রতিপক্ষের মাঠে
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। উসমান দেম্বেলের
গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান লিওনেল মেসি।

পয়েন্ট টেবিলে রিয়াল
মাদ্রিদকে টপকে আবারও দুইয়ে উঠল কাতালান ক্লাবটি। ২৫ ম্যাচে ১৬ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে বার্সেলোনার
পয়েন্ট ৫৩। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৫২।

সব প্রতিযোগিতা মিলে
সেভিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সেলোনা।

গত মৌসুমে এই মাঠে
গোলশূন্য ড্র করেছিল মেসিরা। এরপর এবারের আসরে প্রথম দেখায় বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে
১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল সেভিয়া। আর গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার
মাঠে ২-০ গোলে হেরে কোপা দেল রে থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় আছে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড
চ্যাম্পিয়নরা। 

প্রথম ২০ মিনিটে
প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় বল দখলে রাখলেও এ সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি
বার্সেলোনা। ২১তম মিনিটে গোলের উদ্দেশে ম্যাচে প্রথম শট নেয় তারা। তবে দেম্বেলের বাঁ
পায়ের দুর্বল শট ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি গোলরক্ষকের।

আট মিনিট পর দারুণ
গোলে দলকে এগিয়ে নেন দেম্বেলে। মাঝমাঠ থেকে মেসির থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের
কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। লিগে পাঁচ ম্যাচ ও ৫৫৭ মিনিট পর গোল
হজম করলেন ইয়াসিন বোনো।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম
মিনিটে গোলে প্রথম শট নেয় সেভিয়া। তবে হেসুস নাভাসের দুর্বল শট মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে
খুব একটা ভাবাতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট
হয় বার্সেলোনার; ডান দিক থেকে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ছয় গজ বক্সের বাইরে বাড়ানো ক্রসে পা
ছোঁয়াতেই পারেননি আলবা।

সাত মিনিট পর সের্জিনো
দেস্তের শট পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে সফরকারীদের। পরক্ষণেই মেসির অবিশ্বাস্য ভুলে বার্সেলোনার
হতাশা বাড়ে আরও। দেম্বেলের কাটব্যাক বক্সে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন অধিনায়ক।

৮৫তম মিনিটে অবশেষে
সাফল্যের দেখা পান মেসি। দুই জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন মেসি। ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি
বোনো। ফিরতি বল ধরে তাকেও পেরিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান বার্সেলোনা অধিনায়ক।

সেভিয়ার বিপক্ষে
তিন ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন মেসি। এবারের লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার মোট গোল হলো ১৯টি।

চার দিন পর আবারও
নিজেদের আঙিনাতেই সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। ভিন্ন লক্ষ্যে। কোপা দেল
রের ফাইনালে উঠতে তাদেরকে জিততে হবে কমপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে।

২৩ ম্যাচে ১৭ জয়
ও চার ড্রয়ে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

লিগে টানা ছয় জয়ের
পর হারের স্বাদ পাওয়া সেভিয়া ২৪ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে।