শনিবার দুপুরে বদরগঞ্জ আমলি আদালত-৪ এর বিচারক আল-মেহবুব তার ১৬৪ ধারায়েএ
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন বলে জানান আদালতের জিআরও আব্দুল লতিফ।
নিহত মাহবুবা আক্তার মেরি (২৫) বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক
হাজিপুর গাছুয়াপাড়ার রামনাথপুর বিইউ দাখিল মাদ্রাসার সুপারিটেনডেন্ট মেনহাজুল হকের
মেয়ে। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তাদের বাড়ি থেকে মাহবুবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের জিআরও আব্দুল লতিফ জানান, ‘মৃগী রোগাক্রান্ত মেয়ের বিয়ে দিতে না
পারা’ এ হত্যাকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে নূর নাহার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মাহবুবা
‘এশার নামাজ পড়ার সময় পেছন থেকে গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন তার মা।’
তবে ঘটনার দিন রাতে মাহবুবা আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের
কাছে দাবি করেছিলেন নূর নাহার।
নিহত মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিলেন জানিয়ে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
বদরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, প্রাথমিক ধারণা পারিবারিক অশান্তির
কারণে তাকে কৌশলে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
“আমরা বিষয়টি নিখুঁতভাবে তদন্ত করছি।”
বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না
তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় মাহবুবার বাবা ও মাকে শনিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দুপুরে মেয়েটির চাচা জিয়াউর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের
বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করেন নূরনাহার
বেগম। তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে বলেন ওসি হাবিবুর।