শুক্রবার রাতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো মানদণ্ডগুলো অর্জন করেছে।
এর ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা একধাপ বাড়লো, যা বৈদেশিক বিনিয়োগ পাওয়ার পথকে আরও সুগম করবে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক আরোপসহ আরও কিছু সুযোগ ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।
উত্তরণের ফলে বেশ কিছু সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রহিত হয়ে যাবে; অন্যদিকে এর সুবিধাগুলো কাজের মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হবে বলে অর্থনীতিবিদরা বলে আসছেন।
শনিবার অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তখন আমদানি শুল্ক কমানোসহ উচ্চমাত্রার সংরক্ষণমূলক নীতি পাল্টাতে হবে সরকারকে। তেমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে ব্যবসায়ীদের এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
নীতিগত ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যতটা সম্ভব কম্পিটিটিভনেস বাড়াতে হবে। আমাদের এক্সেঞ্জ রেট ইস্যু আছে, পোর্ট ইস্যু আছে, পরিবহন ইস্যু আছে- এগুলোকে এড্রেস করতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে হলে সেই পরিবেশ, মার্কেট এক্সেস সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের।”