ক্যাটাগরি

কামালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে গণফোরামের একাংশ

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী ও আবু
সাইয়িদ সমর্থকদের বর্ধিত সভা শেষে একথা জানানো হয়।

তবে এই সভার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল। তিনি
এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণফোরাম কোনো বর্ধিত সভা ডাকেনি।

এদিকে মন্টু-সাইয়িদরা সভা করে আগামী ২৮-২৯ মে কাউন্সিল অধিবেশনে
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত দল পরিচালনায়  ২১ সদস্যের স্টিয়ারিং
কমিটি গঠন করেছেন।

স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা হলেন- মোস্তফা মহসিন মন্টু, আবু সাইয়িদ, সুব্রত
চৌধুরী, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মহসিন রশিদ, আওম
শফিকউল্লাহ, মহিউদ্দিন কাদের, মোশতাক আহমদ, সেলিম আকবর, আইয়ুব খান ফারুক, খান
সিদ্দিকুর রহমান, হাসিব চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল বাতেন খান, আতাউর রহমান,
আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, লতিফুল বারী হামিম, সাইদুর রহমান ও মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী।

আবু সাইয়িদের সভাপতিত্বে এই সভায় একাধিক সদস্য কামাল হোসেনকে সভাপতি
পদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন বলে জানা গেছে।

সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্টু বলেন, “গণফোরামের আগামী
কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি হিসেবে রাখা হবে কি না, তা কাউন্সিলররা
সিদ্ধান্ত নেবেন।

“গণফোরাম একটি গণতান্ত্রিক দল। ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি নির্বাচিত
করেছেন কাউন্সিলররা। তারাই পরবর্তী সভাপতি ঠিক করবেন।”

২৮ ও ২৯ মে ঢাকায় এই কাউন্সিল হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আবু সাইয়িদ বলেন, “দেশে আজ আইনের শাসন নেই,
সাংবিধানিক শাসন নেই, জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই, তাদের ভোটের অধিকার নেই। এই
অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদেরকে ক্ষমতার পরিবর্তনে একাতাবদ্ধ হতে হবে, জনগণের শাসন,
জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলন সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ
উপস্থিত ছিলেন।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল
অনুষ্ঠানের জন্য চারটি উপকমিটি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে. ২১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি, আবু সাইয়িদকে আহ্বায়ক
করে ১০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক ও সুব্রত
চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২০১ সদস্যের জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি এবং
স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উদযাপনে আবু সাইয়িদকে আহ্বায়ক করে ৩০১ সদস্যের উৎসব
উদযাপন কমিটি।