শনিবার বিকালে চেরাগী পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের জেলা
সভাপতি অ্যানি সেন বলেন, যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপী, মাদক ব্যবসায়ীরা
বিনা বিচারে বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে শুধু লেখা এবং আঁকার অপরাধে কিশোর
এবং মুশতাক নামক রাষ্ট্রের দুই নাগরিককে আটক করে দীর্ঘ ১১ মাস জেলে পচানো হয়।
“বার বার তাদের জামিন আবেদন নাকচ করা হয় এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় মুশতাক
যখন মারা যান, তখন এই মৃত্যুকে আর স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যায় না। এটি একটি
হত্যাকাণ্ড যার হোতা এই রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র পরিচালকরা।”
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পরহাদ জামান জনি বলেন, “এই
হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আজ এই দেশে কতটা জেঁকে বসেছে। আমরা অবিলম্বে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই এবং লেখক মুশতাকের সাথে আটক হওয়া কার্টুনিস্ট
কিশোরেরও মুক্তি চাই।”
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট( মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম নগর কমিটির
সদস্য সচিব রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নেতা শাহ মুহাম্মদ শিহাব,
বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের তিতাশ চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের অ্যালকো চাকমা,
ছাত্র ফেডারেশন (উমর) কাজী আরমান, অগ্নিবীণা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ
বক্তব্য রাখেন৷
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
মাঈদুল ইসলাম, জিহান করিম, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, গণসংহতি
আন্দোলনের হাসান মারুফ রুমি, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আনিসুর রহমান নাসিম, নারী
নেত্রী আসমা আক্তার।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ
করে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।