ক্যাটাগরি

কোভিড-১৯: দেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪০৭

শনিবার
বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে
মারা যাওয়া ৫ জনকে নিয়ে
দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৪০০
জনের মৃত্যু হল।
 
আর গত ২৪ ঘণ্টায়
আরও ৪০৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৫
হাজার ৮৩১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আরও ৬০৯ জন রোগী সুস্থ
হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে।
তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ
রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৬
হাজার ১০৭ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি।
এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ
শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর
২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর
খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর
সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩৪ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ লাখ ১৮ হাজার।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের
তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে
৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি
র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১২ হাজার ৩৪৮টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার ৬১৬টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার
বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৮ হাজার ৪৬৪টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ২২ হাজার
১৫২টি।

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন,
তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের ৩ জনের বয়স ৬০ বছরের
বেশি; ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা বিভাগের
এবং ১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। 

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া
৮ হাজার ৪০০ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৫৩
জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৪৭ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮২ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫২
জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭১ জনের বয়স
২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০
বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০৩ জন ঢাকা বিভাগের,
১ হাজার ৫৩৭ জন চট্টগ্রাম
বিভাগের, ৪৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬০ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০
জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।