শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৯তম সিন্ডিকেট
সভায় মুনতাসীর মামুনকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার
এস এম মনিরুল হাসান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য উক্ত চেয়ারে নিয়োগ পেয়েছেন। এ সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণির অধ্যাপকের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট
সদস্য কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’
পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা ও তার
স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে। যে ব্যক্তি এই পদে নিযুক্ত হবেন, তার মূল কাজ হবে বঙ্গবন্ধুকে
নিয়ে গবেষণা।
“অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন একজন প্রথিতযশা
গবেষক। আশা করি উনার হাত ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চর্চার দিগন্ত প্রসারিত
হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক
মুনতাসীর মামুন মুক্তিযুদ্ধের ওপর নানা গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।
সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সক্রিয় রয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও। বর্তমানে
কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে আছেন তিনি।
একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনায় প্রতিষ্ঠা পায় গণহত্যা
নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। একাত্তরের ২৫ শে মার্চের কালোরাত্রির গণহত্যার আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতির জন্য লড়ছেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম
নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। একই সময়ে তিনি
ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জাতীয় জাদুঘরের
ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের
সদস্য ছিলেন। ঢাকা নগর জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
ঢাকার ইতিহাস চর্চার জন্য মুনতাসীর মামুন
প্রতিষ্ঠা করেছেন সেন্টার ফর ঢাকা স্টাডিজ (ঢাকা চর্চা কেন্দ্র)। তিনি বাংলা একাডেমির
একজন ফেলো।