শনিবার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভিডিও
কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন,
মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয় বাংলাকে করেছিলেন নিষিদ্ধ।
“স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ
ছিল। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী
অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস নিজেই জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আজকের
উগ্র সাম্প্রদায়িকতার উৎসমুখ জিয়াউর রহমানই উন্মুক্ত করেছিলেন।”
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান
‘বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমানই খুনিদের
পূনর্বাসন করেছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি এবং খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও
সহযোগিতা করছেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন
ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে
নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা
যাবে না।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল
কাদের বলেন, তৃণমূলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে এগিয়ে নিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রার্থিতাসহ অন্যান্য বিষয়ে দলীয় নির্দেশনা ইতিমধ্যেই জেলায়
পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যেক ইউনিয়ন কমিটি সভা করে এক থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত
করে দলের ইউনিয়ন কমিটির রেজুলেশন বা লিখিত সুপারিশ উপজেলা ও জেলা কমিটির স্বাক্ষরসহ
ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।