ক্যাটাগরি

বাদানুবাদের পর ছাত্র ফেডারেশনের মিছিলের পথ ছাড়ল পুলিশ

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের
(টিএসসি) সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শাহবাগের পথে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে
পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর পুলিশ মিছিলের পথ ছেড়ে
দেয়।

পরে ছাত্র ফেডারেশনের মিছিলটি শাহবাগ ঘুরে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে
হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশের শেষ দিকে ‘জনগণের পক্ষ থেকে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ঘোষণা
করে সংগঠনটি। আইনটিকে কণ্ঠরোধকারী ও নিবর্তনমূলক বলে আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনটির
প্রতি ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন করেন ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করতে গেলে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।এতে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত
হন। 

পুলিশের এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকালে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয় ছাত্র
ফেডারেশন।

সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, “ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে আগামী এক মাস সারা দেশে সব প্রগতিশীল সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে
আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে আমরা বিক্ষোভ
করব।এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

“সব প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে
ও সারা দেশে বিক্ষোভ হবে৷ ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ।”

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, “গতকাল শুক্রবার পুলিশের
হামলায় বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সাতজনের নামে নয়টি অভিযোগ
করেছে পুলিশ। এটি কণ্ঠরোধের চেষ্টা ও সংবিধান লঙ্ঘন। আজ সন্ধ্যার মধ্যে আটকদের না ছাড়া
হলে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য শাহবাগ থানার পুলিশ দায়ী থাকবে। হুঁশিয়ার করতে চাই,
জনগণের কাতারে না এলে তারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।”

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার
আহ্বায়ক সৈকত আরিফ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।