প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা মোরগটি ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করার সময় ওই ব্যক্তির কুঁচকিতে ছুরির আঘাত লাগে, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়; জানিয়েছে বিবিসি।
গত সপ্তাহের মাঝামাঝিতে তেলেঙ্গানার লোথুনুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এখন ওই মোরগ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত আরও ১৫ জনকে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনার পর থানায় রাখা মোরগটিকে পরে একটি পোল্টি খামারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করার পর মোরগটি ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করে, মালিক এটিকে ধরার চেষ্টা করলে ঝাপটাঝাপটির এক পর্যায়ে এর পায়ের সঙ্গে থাকা সাত সেন্টিমিটার (তিন ইঞ্চি) লম্বা ছুরি তার কুঁচকিতে ঢুকে যায়।
যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যা, অবৈধ বাজি ধরা ও মোরগ লড়াইয়ের আয়োজন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বি জীবন জানিয়েছেন, পরবর্তী কোনো একদিন মোরগটিকে সাক্ষ্য হিসেবে আদালতে হাজির করা হবে।
ভারতে ১৯৬০ সালে মোরগলড়াই বেআইনি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরও মোরগ লড়াই থেমে নেই। তেলেঙ্গানা ও এর আশপাশের রাজ্যগুলোর গ্রামাঞ্চলে প্রায়ই এর আয়োজন করা হয়। সংক্রান্তির সময় তা আরও বেড়ে যায়।
মোরগের আঘাতে মালিক নিহত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম না। গত বছর অন্ধ্র প্রদেশ আরেক ব্যক্তি তার ঘাড়ে মোরগের পায়ে বাঁধা ছুরির আঘাতে নিহত হয়েছিলেন। মোরগ লড়াইয়ের জন্য প্রাণীটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছিল।