২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পূর্বাচলে জয় বাংলা চত্বরে এ উৎসবে তাদের নির্মিত একটি শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন ভাষা সংগ্রামী ও গবেষক আহমদ রফিক।
ছবি আঁকছেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক
দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে প্রদর্শন করা হয় ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিকসহ বরেণ্য ও তরুণ ৫০ শিল্পীর ৫০টি বর্ণের ছবি। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিল রাস্তাজুড়ে বর্ণ আলপনা, বর্ণমালায় হাতেখড়ি, বইটং উদ্বোধন, বর্ণমালার খেলা, বর্ণমালা চেনা ও বর্ণফুল আঁকা ইত্যাদি।
উৎসবে অংশ নেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, শিল্পী মাহফুজুর রহমান, শিল্পী বিশ্বজিৎ গোস্বামী, কার্টুনিস্ট মেহেদী হক, কার্টুনিস্ট নাসরীন সুলতানা মিতু, শিল্পী ইমরান হোসেন পিপলু, শিল্পী আবদুশ শাকুর শাহ, শিল্পী কনক আদিত্য, শিল্পী আইভি জামান, শিল্পী হামিদুজ্জান খান, শিল্পী মীম রহমান, শিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী, শিল্পী নিখিল চন্দ্র দাস ও শিল্পী মামুন হোসাইন ।
ছবি আঁকছেন কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব
শিল্পীরা জানান, প্রতিটি বর্ণের একটি চেহারা আছে। আছে আলাদা চরিত্র। আছে শব্দ, বাক্য ও ধ্বনি তৈরি ক্ষমতা। বর্ণেরা মিলেমিশে প্রকাশ করে আমাদের আবেগ অনুভূতি। বর্ণ উৎসব আয়োজনে এক একটি বর্ণ নিয়ে এক একজন শিল্পী তার অনুভূতির ছবি এঁকেছেন।
ইকরিমিকরি নির্মিত শহীদ মিনার
ইকরিমিকরি জানায়, প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় বর্ণমালাকে অনেক আদরে যতনে লালন করা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম উপায়। আমরা চাই শিশুরা মাতৃভাষাকে আরও ভালো করে জানুক। হৃদয়ে ধারণ করুক। শিশুদের জন্যই এমন আয়োজন।
প্রতি বছর সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে নিয়মিত ‘বর্ণ উৎসব’ হবে বলে জানান আয়োজকরা। এটি হবে সার্বজনীন। এছাড়া চলবে সারা বছর ধরে বর্ণমালাকে ঘিরে গবেষণাসহ নানা ধরণের চর্চা ও কার্যক্রম, সেসব ফেব্রুয়ারি মাসে উপস্থাপন করা হবে।
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com। সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |