শনিবার বিকাল সাড়ে
৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বাংলাদেশের জনগণ’ ব্যানারে
সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগার
ও লেখকসহ বেশ কিছু নাগরিক অংশ নেন।
সমাবেশ শেষে মুশতাক
আহমেদের প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শাহবাগ মোড় হয়ে পরীবাগ
ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের রাস্তা ঘুরে পুনরায় টিএসসি এসে শেষ হয়।
সমাবেশ থেকে কারাগারে
আটক অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের
দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে
দাবি জানানো হয়।
টিএসসির সমাবেশে লেখক
ও অ্যাক্টিভিস্ট আবু মুসাফির বলেন, “আজকে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তাতে বলা যায় বাংলাদেশ
মরে গেছে।
“মানুষ কথা বলতে পারছে
না, মৌলিক অধিকার চর্চা করতে পারছে না। সর্বত্র গুম, খুন ও ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
মানুষ মরে গেলে যেভাবে নিশ্চুপ হয়ে যায়, আজ সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই আমরা প্রতীকী
অর্থে বাংলাদেশের লাশ নিয়ে খাটিয়া মিছিল করছি।”
সমাবেশে মৌলিক বাংলা
সংগঠনের সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, “আজকে শুধু মুশতাক আহমেদ এই খাটিয়ায় শায়িত নয়, আমরা-আপনারা
সবাই এখন খাটিয়ায় আছি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আজ
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। লড়াই করে আমাদের মৌলিক অধিকার আদায় করতে হবে।”
ব্লগার রাতুল মুহাম্মদ
বলেন, “সব গ্রেপ্তার, গুম, খুন অন্যায়-জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা এ খাটিয়া মিছিল
করছি। এই মিছিলে আসার জন্য খুলনা পাটকল আন্দোলনের সংগঠক রুহুল আমিন বের হলে তাকে ডিবি
পুলিশ আটক করে মামলা দিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।”