বৃহস্পতিবার ওই পালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় কারা পরিচালক ও কয়েকজন পথচারীসহ ২৫ জন নিহত হয়েছে।
পলাতক কয়েদিদের মধ্যে দেশটির কুখ্যাত একটি অপরাধী দলের নেতা আর্নেল জোসেফও ছিলেন; কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে জোসেফ ছিলেন হাইতির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধী।
বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে কয়েদিরা কিভাবে পালিয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনেন এবং এর কিছুক্ষণ পর কয়েদিদের কারাগার থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন।
“২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ কয়েদি এবং আঞ্চলিক পরিদর্শক পল হেক্টর জোসেফও আছেন, তিনিই ওই কারাগারের দায়িত্বে ছিলেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সাধারণ নাগরিকও আছেন, পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েদিরা তাদের হত্যা করে,” শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন হাইতির যোগাযোগ সচিব ফ্রান্জ এক্সান্টুস।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতিতে এর আগেও কারাগার ভেঙে কয়েদি পালানোর ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আকুইন কারাগার ভেঙে সেখানকার ৭৮ কয়েদির সবাই পালিয়ে যায়; কয়েদিরা যখন পালাচ্ছিল, সেসময় পুলিশ কাছাকাছি এলাকায় সরকারিবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
এরও দুই বছর আগে পোর্ট-অঁ-প্রিন্সের উত্তরে অবস্থিত আরকাহাই কারাগার থেকে ১৭০ এরও বেশি কয়েদি পালিয়ে যায়।