তিন দিনেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ১৫১ রান করা আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংস থমকে যায় ১৩৯ রানে। বাংলাদেশ ইমার্জিং দল একমাত্র ইনিংসে করে ৩১৩ রান। স্বাগতিকরা ম্যাচ জেতে ইনিংস ও ২৩ রানে।
এই ম্যাচের আগে ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তানভিরের উইকেট ছিল কেবল ১৯টি, পাঁচ উইকেট ছিল না একবারও। প্রথম ইনিংসে ৫৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়া ২৪ বছর বয়সী স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দুর্দান্ত। ৫১ রানে ৮ উইকেট নিয়ে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দেন সফরকারীদের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার ৪ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে আইরিশরা। স্বাগতিকদের আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে তাদের প্রয়োজন ছিল আরও ১২৭ রান।
দিনের শুরুটা সফরকারীদের জন্য ছিল আশা জাগানিয়া। অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার এগিয়ে নেন দলকে। তিন চারে ২২ রান করা ক্যাম্পারকে ফিরিয়ে ৬০ রানের জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান।

তিন দিনেই আয়ারল্যান্ড উলভসকে হারাল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ছবি: বিসিবি
তানভিরের স্পিনে এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ড। সফরকারীরা শেষ ৬ উইকেট হারায় ৪৬ রানে। লর্কান টাকারকে স্টাম্পড করার পর টেক্টরকে এলবিডব্লিউ করে ম্যাচে নিজের দশম উইকেট নেন তানভির।
আইরিশ অধিনায়ক ৭ চারে ১৩৭ বলে করেন ৫৫ রান। এরপর বেশি দূর এগোয়নি তাদের ইনিংস।
আগামী ৫ মার্চ একই মাঠে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড এ দল ১ম ইনিংস: ১৫১
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ১ম ইনিংস: ৩১৩
আয়ারল্যান্ড এ দল ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৩৫/৪) ৭৪.৩ ওভারে ১৩৯ (টেক্টর ৫৫, ক্যাম্পার ২২, টাকার ৫, অ্যাডায়ার ১৪, ডেলানি ৮, হিউম ১, চেইস ০*; ইবাদত ১৭-৬-২৭-১, খালেদ ১৩-২-৩২-০, তানভির ২৮.৩-১১-৫১-৮, রিশাদ ৬-২-৯-০, সাইফ ১০-২-১৫-১)।