শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন
সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ।
অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারি মাসের কর্মসূচি হিসেবে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উৎসবের লোগো উন্মোচন এবং ‘শিল্পীর রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মসূচির
উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
মো. আখতারুজ্জামান।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, মার্চে
‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার (ওয়েবিনার), স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন এবং এ নিয়ে টেলিভিশন
আলোচনার আয়োজন।
১ জুলাই প্রতিষ্ঠার একশ বছর উদযাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্য্যালয়। শতবর্ষের
মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারী অ্যালামনাইদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে জুন
মাসে। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। এছাড়া ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশ
করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাস জুলাইয়ে ‘শতবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান’
ছাড়াও ‘স্মৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ গ্রন্থ প্রকাশ এবং অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে র্যালি
অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ বছরের সংগ্রহকৃত ছবি নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
এবং ‘রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ কর্মসূচি পালন করা হবে। থাকবে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের
স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অগাস্টে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি ও প্রদর্শনী
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। এছাড়া এই মাসে বঙ্গবন্ধু
অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরে আলোকচিত্র ও রং তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্ট গ্যালারি
উদ্বোধন এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
অক্টোবর মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের
সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন’ আয়োজন করা হবে।
নভেম্বর মাস থেকে অ্যালামনাই মিলনমেলার প্রস্তুতিমূলক কাজ চলবে এবং
আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর হবে প্রাক্তনদের শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান
বলেন, “এ বছর মুজিব শতবর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শত বর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
এই তিন মহাআয়োজনের সন্ধিক্ষণে আমরা। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে শতবর্ষ
উদযাপন কমিটি গঠন করে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
“আজকে অ্যালামনাই অ্য্যাসোসিয়েশনেও বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা
করেছে। আসলে প্রাক্তনরাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। আশা করি, এসব মহাযজ্ঞে সাবেক-বর্তমান
সবার অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় সুন্দর ও সফলভাবে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের ব্যবস্থাপনা ও চিন্তা শক্তিতে পরিবর্তন করতে
হবে। সব আয়োজনে গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাইকে আলাদা
করে দেখার কারণ নেই। বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় এগিয়ে যায়।
আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে যেতে হবে, সহযোগিতা বজায় রাখতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পিএসসি চেয়্যারম্যান সোহরাব হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের
সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, যুগ্ম মহাসচিব
আশরাফুল হক মুকুল, সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক
অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চিত্রনায়ক
ফেরদৌস বক্তব্য দেন।