ক্যাটাগরি

পঞ্চম ধাপে পৌর মেয়র হচ্ছেন যারা

রোববার ২৯টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আমাদের প্রতিনিধিরা একে একে খবর পাঠাতে শুরু করেছেন।

নাচোলে নৌকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৗরসভা নির্বাচনে ৪ হাজার ৫১২ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশিদ খাঁন বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার ভোট গণনা শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোতোওয়াক্কিল রহমান ফলাফল ঘোষণা করে আরও বলেন, মেয়র প্রার্থী (আ.লীগ বদ্রিোহী র্প্রাথী) রজোউল ইসলাম বাবু পয়েছেনে ২ হাজার ৮৯২ ভোট।

বিএনপির বিদ্রোহী আমানুল্লাহ মাসুদ ২ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী মাসউদা হক শুচি ২ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।

ভৈরব পৌরসভায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইফতেখার হোসেন বেনু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, নির্বাচনে ৩৫টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত ইফতেখার হোসেন বেনু ৩৭ হাজার ৯৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. শাহীন পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৯০ ভোট।

ভৈরব পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭১৩ জন।

মহেশপুর ও কালীগঞ্জের ফল

মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রশিদ খান ১৩ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে দ্বিতীয় বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমিরুল ইসলাম খান পেয়েছেন এক হাজার ৫৫ ভোট।

সহকারী রির্টানিং অফিসার আলমগির হোসেন জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশরাফুল আলম আশরাফ ১৯ হাজার ৪২৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহাবুবার রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫০ ভোট।

রায়পুরে মেয়র রুবেল

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

ভোট গণনা শেষে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট নির্বাচনে ৮ হাজার ৪০২ ভোট পেয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত ধানে শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৪৪১ ভোট।

নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে আবু নাছের বাবু, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান রিজভী, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো.ইউছুফ মিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন বাহার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জাকির হোসেন নোমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আইনুল কবির মনির, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান শিশির পাঠান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হোসেন সর্দার এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রুবেল প্রধানিয়া নির্বাচিত হন।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমা আরা মনি। ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরদৌসী স্বপ্না এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শামছুন নাহার লিলি নির্বাচিত হন।

জয়পুরহাট পৌরসভায় আবারও নৌকা

দেশব্যাপী পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে জয়পুরহাটে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

রোববার সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এ ফলাফল জানিয়েছেন।

মোস্তাক নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শামছুল হক ধানের শীষ মার্কায় পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬১ ভোট।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বেদারুল ইসলাম বেদিন ৫৫৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিবুল ইসলাম ১ হাজার ৫২৫ ভোট এবং  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডা. মুহাম্মদ জহুরুল হক ৪১২ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাট পৌরসভায় এই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা ভোটগ্রহণ চলে।

তবে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থী অধ্যক্ষ শামছুল হক দুপুরে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্বাচন বর্জন করে অবিলম্বে আবার নির্বাচনের দাবি জানান।

নান্দাইলে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র রফিক

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হতে চলেছেন নৌকার প্রতীকের প্রার্থী রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া।

নান্দাইল নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৭ ভোট।

অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৪৯ ভোট।

এই পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই প্রার্থীসহ সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাটে নৌকা

রাজশাহীর দুর্গাপুর ও চারঘাট পৌরসভা দুইটিতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা।

রোববার সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এসব ফলাফল জানান।

রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভায় তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তোফাজ্জাল হোসেন।

তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৮২৯টি।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী জার্জিস হোসেন সোহেল পেয়েছেন ৬ হাজার ২৭৩ ভোট।

এছাড়াও এ পৌরসভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাসানুজ্জামান সান্টু (মোবাইল ফোন) এবং জাতীয় পার্টির হুমায়ুন কবীর (লাঙ্গল) প্রার্থী ছিলেন।

এদিকে, প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একরামুল হক।

তিনি নৌকা প্রতীকে ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়েছেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির মনোনিত জাকিরুল ইসলাম বিকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৮১২ ভোট।

চরফ্যাশন পৌরে মেয়র মোরশেদ

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ফলাফল ঘোষণা করেন।

চরফ্যাশন পৌর মেয়র পদে মো. মোরশেদ নৌকা প্রতীকে ১৪ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শরীফ হোসেন নারিকেল গাছ প্রতীকে ৭৮১ ভোট পেয়েছেন।

চরফ্যাশন পৌরসভার ১৭টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৫৭১ জন্য ভোটারের মধ্যে ৬০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি। 

কাউন্সিলর পদে বিজয়ীরা হয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে স্বপন চৌধুরী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মফিজ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আ. মতিন মোল্লা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আকতারুল আলম সামু, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়াসউদ্দিন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোস্তাহিদুল হক তানভীর, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিদ্দকুর রহমান মোক্তাদি এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মনজু।