চূড়ান্ত
শুনানির পর বিচারপতি জে
বি এম হাসান ও
বিচারপতি খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।
আদালতে
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী
মোকছেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “যে বিষয়টা নিয়ে
রিট আবেদনটি করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো
সিদ্ধান্ত দেয়নি আদালত। রায়ে আদালত বলেছে, রিটটি মেইনটেনেবল (গ্রহণযোগ্য না) না। আদালত বিষয়টা নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যেতে বলেছে। তবে প্রশাসিনক ট্রাইব্যুনালে যাচ্ছি না। এ রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল বিভাগে যাব।”
ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৪৮ হাজার ৭২০
জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে গত বছর ১২
অগাস্ট জারি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটি চ্যালেঞ্জ করে ২৭২ জন শিক্ষক প্রশাসিনক
ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। সেখানে প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করা হয়েছে।
“রিট
আবেদন বিষয়ে হাই কোর্ট রায়ে বলেছে এটা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিষয়। এই বিষয়ে রিট
আবেদন চলে না। যে কারণে রিট
আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।”
শিক্ষকদের টাইম স্কেল: হাই কোর্টে রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয়
প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ লাখ ৪
হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি
জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সে ঘোষণা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ
করা হয়। সেই পরিপত্র ও গেজেটের ভিত্তিতে
জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন।
কিন্তু গত বছর ১২
অগাস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০
জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে।
আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছর ৩১
অগাস্ট হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহীর গাঙ্গোপাড়া
বাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক সেই আবেদনটি করেন।
ওই দিন হাই কোর্ট ছয় মাসের জন্য
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করে। এরপর হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে যায় রাষ্ট্রপক্ষ।
সে আবেদনের শুনানি করে ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার
বিচারক হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়। তখন চেম্বার আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রিটকারী পক্ষ।
গত
১৩ জানুয়ারি সে আবেদনের শুনানি
করে আপিল বিভাগ রিটটি হাই কোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। সেজন্য হাই কোর্টের এই বেঞ্চটি নির্ধারণ
করে দেওয়া হয়। আদেশ পাওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছিল।
তারই
ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রোববার রায় দিল।