এ ঘটনায় কল্পনা খাতুন
(২৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচ নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে
সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শনিবার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে জীবিত ও মৃত
শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দামের স্ত্রী কল্পনাকে।
সিরাজগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আবার নবজাতক চুরি
মৃত শিশু মাহিম উল্লাপাড়া
উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মঞ্জুয়ারা দম্পতির সন্তান। জীবিত শিশু সামিউল
পাবনার চাটমোহর উপজেলার স্থল গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও সবিতা খাতুনের ছেলে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের
শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা ২৩ দিন বয়সী মাহিমকে চুরি করা হয়। এর ঠিক পাঁচ
দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে হাটিকুমরুল গোলচত্বরের শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল
থেকে সামিউল নামের একদিন বয়সী নবজাতক শিশুটি একইভাবে চুরি হয়।
ওসি আব্দুল কাদের জিলানী
জানান, শনিবার শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজতাক চুরি যাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ এবং ঘটনার বিভিন্ন দিক
পর্যালোচনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অভিযানে
যান।
সেখানে নবজাতক শিশুটিকে
সাদ্দামের স্ত্রী কল্পনার কোলে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বাড়ি তল্লাশি করে
ধানের গোলার মধ্যে মাহিম নামে অপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় কল্পনাকে গ্রেপ্তার
করা হয় এবং আশপাশে অবস্থান করা আরও পাঁচজন নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।