তারা
কলেজের সামনে রংপুর-বুড়িরহাট সড়কে অবস্থান নিয়ে মাইগ্রেশনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন
সোমবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। এ সময় ওই সড়কে যানজট দেখা দেয়।
প্রথম
বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই কলেজে শিক্ষক
ও হাসপাতাল নেই। অনুমোদনও নেই। তা সত্ত্বেও তারা তিন শতাধিক দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীকে
ভর্তি করেছে।
“কর্তৃপক্ষ
শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে কলেজ চালালেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন আনতে পারেনি। ধার করা
রোগী ও শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করায়। এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের
সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
তৃতীয়
বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিলা সৌরভ রিতু বলেন, “টানা ২৩ দিন ধরে আন্দোলন ও দাবির বিষয়ে
কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমাদের শিক্ষাজীবন
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
শেষ
বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাইমিন আহমেদ ইমন বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে
পড়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।”
বেলা
১টায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে বললেও শিক্ষার্থীরা তাদের
অবস্থানে অনড় থাকেন। বেলা দেড়টার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু
করেন।
কলেজের
অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকেদর সঙ্গে কোনো
কথা বলবেন না বলে অফিস সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন।
সিটি
পুলিশের সহকারী কমিশনার আলতাফ হোসেন বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে দিতে
বলেছেন। শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
কলেজের
অনুমোদন বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু
তারা এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।”