ক্যাটাগরি

আবেগ চাপা দিয়ে রাখার লক্ষণ

জোর
করে অনুভূতি চাপা দিয়ে রাখা, মনের আবেগ প্রকাশ করার মতো কাউকে না পাওয়া কিংবা জানতে
না দেওয়ার মতো ক্লান্তিকর বিষয় আর হয় না।

নতুন
পরিচিত কারও কাছে নিজেকে মেলে ধরতে অস্বস্তি কাজ করতেই পারে। তবে সব ক্ষেত্রে এরকম
হলে বুঝতে হবে আপনি হয়ত জোর করেই আবেগ চেপে রাখছেন। আর এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললে
দেখা দিতে পারে নানান মানসিক সমস্যা।

আসলেই
কি অনুভূতির প্রকাশ করতে গিয়ে দ্বন্দ্বে ভুগছেন? মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে
প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সেই লক্ষণগুলোই তুলে ধরা হল।

উদ্বেগ প্রকাশের মাত্রা খুবই কম:
চিন্তায় পড়লে সেটা প্রকাশ না করার মানে হল অনুভূতি ধামাচাপা দিয়ে রাখছেন। দুঃশ্চিন্তা
কমানোর অন্যতম উপায় হল সেটা প্রকাশ করা। আর বেশিদিন ধরে উদ্বেগ চেপে রাখলে সেই বিষয়
নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার মাত্রা বাড়ে। যা আসলে দীর্ঘমেয়াদে দুঃশ্চিন্তার পরিমাণই বাড়ায়।

সমস্যা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা:
প্রতিনিয়ত যদি অন্যদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন বা সমস্যা ভুলে থাকতে বেছে নেন টেলিভিশন
ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম; তাহলে আপনি হয়ত অতিমাত্রায় নিজের আবেগ চেপে রাখছেন। বরং
সমস্যা সমাধানে সময় নিন কিংবা বিশ্বাসী বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন।

কান্না ও দুঃখ প্রকাশে অস্বস্তি:
মানুষের জীবনে হৃদয় ভাঙার কাহিনী থাকবেই। আর সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আবার অন্য
মানুষকেই খুঁজে নিতে হয়। আর এই খুঁজে নেওয়ার মাঝে চোখের পানি ফেলা, দুঃখ পাওয়ার মতো
বিষয়গুলো স্বাভাবিক। যদিও অনেকে এটা দুর্বলতা ভেবে লুকিয়ে রাখেন। তবে যত বেশি লুকাবেন
ততবেশি এই দুঃখবোধ আপনাকে দুর্বল করে তুলবে।

ছোট-খাটো বিষয়ে অতি-ক্ষোভ:
বড় বিষয়গুলো এড়িয়ে যান, অথচ ছোট সাধারণ বিষয় নিয়ে প্রচণ্ড রাগ প্রকাশ করেন- এরকম করার
অর্থ হল আপনি মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন পাশাপাশি কোনো প্রশ্নের
মুখোমুখি হতে ইচ্ছে হয় না আপনার। এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখালে আসল সমস্যাটা আর সমাধান
করা হয় না। উল্টো বিপত্তি বাড়তে থাকে।

মানুষ এড়িয়ে চলা:
কারও মুখোমুখি হতে ইচ্ছে হয় না, নিজের চিন্তাও প্রকাশ করতে ভালোলাগে না- এরকম হলে বুঝতে
হবে নিজের আবেগ পুরোপুরি চেপে রাখছেন। আপনি যে ভালো নাই সেটা অন্যরা বুঝতে পেরে কি-না-কি
মন্তব্য করবে এই ভয়ে নিজেকে ‍লুকিয়ে রাখছেন, যা হয়ত পরে আপনাকে আরও একাকী করে তুলবে।

দুই ধরনের ব্যক্তিত্ব:
অনুভূতি চেপে রাখা মানুষের মাঝে দ্বিচারিতা দেখায়। মানুষ-জনের সঙ্গে থাকলে দেখা যায়
সে নিজেকে প্রকাশ করছে এমনভাবে যাতে কেউ তাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তোলে। আবার এই মানুষটাই
যখন একা থাকেন তখন পুরো অন্যরকম। অন্যদের সামনে যে মানুষটা আনন্দদায়ক আর সুখী, নিজের
মাঝে সে মানসিক চাপে জর্জরিত।

আবেগপ্রবণ মানুষ এড়িয়ে চলা:
অনেকেই আছেন খুবই আবেগপ্রবণ। আর তা প্রকাশ করতেও দ্বিধা বোধ করেন না। এরকম ব্যক্তির
কাছে অস্বস্তিতে ভোগেন অনুভূতি চেপে রাখা মানুষ। এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। তবে তাদের
কথা তখনই শুনতে ইচ্ছে হয় যখন দেখা যায় নিজের মানসিক চাপের সঙ্গে তাদের উদ্বেগের মিল
রয়েছে।

 

আরও পড়ুন


তার মনে কি শুধুই আপনি!
 

‘সোশাল মিডিয়া’ ভালো লাগে না আবার ফেলতেও পারেন না
 

প্রেমিকা হিসেবে আপনি কি সহানুভূতিশীল?