স্পিনারদের রাজত্বের তৃতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। দিবা-রাত্রির ম্যাচটি শেষ হয়ে যায় দুই দিনেই। দুই দলের পতন হওয়া ৩০ উইকেটের ২৮টিই নেন স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে ১১২ রানে গুটিয়ে যাওয়া সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ৮১ রানে। এরপর থেকেই উইকেট নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়ে পড়েন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনসহ ব্রিটিশ মিডিয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার পোস্ট করা ভিডিওতে রিচার্ডস বলেন, যারা উইকেট নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা হয়তো ভুলে গেছেন খেলা ভারতে হচ্ছে।
“সম্প্রতি ভারতে হওয়া টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে…ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট নিয়ে। এই প্রশ্নে সত্যিই আমি কিছুটা বিভ্রান্ত। কারণ, যে উইকেটে খেলা হয়েছে, তা নিয়ে হাহাকার একটু বেশি হচ্ছে বলে মনে হয়েছে। যারা এমন কান্নাকাটি করছে, তাদের বোঝা উচিত, যখন পেসবান্ধব উইকেটে খেলা হয়, তখন গুড লেংথ থেকে বল লাফিয়ে ওঠে। ব্যাটসম্যানদের জন্য যা সমস্যা বলে মনে করা হয়। ব্যাটসম্যানরা কখনও কখনও এর সঙ্গে মানিয়েও নেয়।”
“এখন অন্য দিকটা (স্পিনবান্ধব উইকেট) দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই এর নাম দেওয়া হয়েছে টেস্ট ক্রিকেট। কারণ, এখানে মনোবল, লড়াকু মানসিকতা ও এর সঙ্গে জড়িত সবকিছুর পরীক্ষা নেওয়া হয়। উইকেটে বল বেশি ঘুরছে বলে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে, বিষয়টা মুদ্রার উল্টো দিক মাত্র। মানুষ সম্ভবত ভুলে যাচ্ছে তারা কোথায় খেলছে। ভারতে গেলে তো এর (স্পিনবান্ধব উইকেট) জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, সেটা জেনেই প্রস্তুত হওয়া উচিত।”
একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচও একই রকম উইকেট হতে পারে মাথায় রেখে ইংলিশদের প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১২১ টেস্ট খেলা রিচার্ডস।
“এভাবে কান্নাকাটি না করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। যেভাবে টেস্টটা দ্রুত শেষ হয়েছে, তা ইংল্যান্ডকে একটা সুযোগ করে দিয়েছে নিজেদের সবকিছু আরেকবার পরখ করে দেখার। তাদের মাথায় রাখা উচিত, যে উইকেটে খেলেছে চতুর্থ টেস্টেও এমন উইকেট থাকতে পারে। আমি যদি ভারত হতাম বা উইকেট বানানোর সঙ্গে জড়িত থাকতাম, আমি একই উইকেটই বানাতাম।”