ইসরায়েল পৌঁছে তিনি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। আপাতত তিনি তিন দিনের জন্য সেখানে গেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক চিফ অব স্টাফ আল খাজা এই সফরে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রিউভেন রেভলিনের কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করবেন।
তেল আবিবের কোথায় দূতাবাস চান সেটা দেখতে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা।
আল খাজা জেরুজালেম পৌঁছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসরায়েলে আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রদূত হতে পেরে তিনি ‘গর্বিত ও সম্মানিত’ বোধ করছেন।
কিভাবে এখানে কাজ করবেন সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশকেনাজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বলেন, ‘‘এখানে আমার লক্ষ্য দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি…আমরা আশা করছি এটা মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে।”
ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে আমিরাত বিরাট ভুল করেছে: ইরান
সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েল-আমিরাত ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং ইরানের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করতে একটি চুক্তিতে উপনীত হয় ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেটা ‘আব্রাহাম চুক্তি’ নামে পরিচিত।
গত জানুয়ারিতে আবু ধাবিতে দূতাবাস চালু করে ইসরায়েল।
এর আগে জর্ডান এবং মিশর তেল আবিবে দূতাবাস বা কনস্যুলেট খোলার কাজ শুরু করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য তেল আবিব নয় বরং জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী দাবি করে। কিন্তু তাদের এ দাবি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। ফিলিস্তিন তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় পূর্ব জেরুজালেমকে। যেটি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল।