সোমবার মামলার তদন্ত
প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম
সত্যব্রত শিকদার নতুন দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর
ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলা করেন প্রসূতির স্বামী এস এ
আলম সবুজ। বিচারক পিবিআই কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার অন্য আসামিরা
হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ
ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রাণী সরকার।
সবুজ এজাহারে বলেন, তার
স্ত্রী নাসরিন গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের ধারণা
ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন, কিন্তু পাননি। নাসরিনের প্রসব বেদনার কথা সেবিকা শংকরী
রাণীকে বারবার জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে সবুজ চিকিৎসকডাকার
অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে
বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো চিকিৎসক আসেননি।
একপর্যায়ে শংকরী রাণী স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই জোর করে
বাচ্চা প্রসব করান বলে এজাহারে বলা হয়। সবুজের স্ত্রী একটি মেয়ে সন্তান প্রসবের কিছুক্ষণ
পরই মারা যান।
মামলার অভিযোগে সবুজ
আরও বলেন, তার স্ত্রীর মৃত্যুর পেছনে অবহেলার কথা স্বীকার করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।