বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট মো.
সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোমবার সকাল থেকে এ উচ্ছেদ
অভিযান চালাচ্ছেন।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই এলাকার বাসিন্দারা উচ্ছেদে কোনো বাধা দিচ্ছেন না। তারা
আমাদের সহযোগিতা করছেন। ওখানে থাকা কাঠামোগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।”
এছাড়া উচ্ছেদ করা এলাকায়
কাঁটাতারের সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক
আলমগীর হাসান বলেন, “লালদিয়ার চরের অনেক লোকজন রোববার ও শনিবার এলাকা ছেড়েছে। উচ্ছেদ
চলছে। এই উচ্ছেদ নিয়ে আমাদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে মনে হল আমরা বাংলাদেশের নাগরিক
নই।”
উচ্ছেদ চলাকালে সকাল সাড়ে
৯টার দিকে লালদিয়ার চর এলাকা পরিদর্শন করেন বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর এম শাহজাহান।
তিনি বোট ক্লাব এলাকায় সাংবাদিকদের
বলেন, “লালদিয়ার চর এলাকায় উচ্ছেদ চলছে। বাসিন্দারা কোনো বাধা দিচ্ছে না। আমরা বলপ্রয়োগ
করতে চাই না। আমরা ওদের সহযোগিতা করছি।”
১৯৭২ সালে বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের সময় স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে নিজেদের ভিটামাটি ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি শুরু করে স্থানীয় কয়েকশ পরিবার। ২ হাজার ৩০০ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষ
এতদিন সেখানে বসবাস করে আসছিল।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পক্ষে
পেয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ লালদিয়ার চরে উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে পুর্নবাসনের দাবিতে আন্দোলনে
নামেন সেখানকার বাসিন্দারা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি লালদিয়ার চর এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ
হয়।
তাদের দাবি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা
তাদের জন্য নয়। যারা নদীর ২০ ফুটের মধ্যে দখলকারী, তাদের জন্য। আদেশের সুযোগে বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘চালাকির’ আশ্রয় নিয়েছে।
আন্দোলনের মধ্যেই নৌপরিবহন
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম এসে লালদিয়ার চর এলাকায় উচ্ছেদে অনড় অবস্থানের
কথা জানান।
পুরনো খবর
লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ অভিযানে অনড় নৌ প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন ছাড়া লালদিয়ার চর ‘ছাড়বেন না’ বাসিন্দারা
লালদিয়ার চরবাসীর পুনর্বাসন চান সুজনও
উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন চান লালদিয়ার চরের বাসিন্দারা