টিএসসি থেকে ছাত্রনেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেলে রাজু
ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সামনে তার এমন বক্তব্য
আসে।
নূর বলেন, “এরপর থেকে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি থাকলে আগুন ধরি দেবেন। আগুন ধরিয়ে
আমাকে হুকুমের আসামি করতে বলবেন যে, ডাকসুর ভিপি আগুন ধরাতে বলেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি
থাকবে কেন? এটাতো কোনো ক্যান্টনমেন্ট
এরিয়া না। অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়,
প্রতিরোধ
তখন কর্তব্য হয়ে যায়।”
নূর বলেন, ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশের আগে প্রক্টরের
অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও ‘যখন-তখন, যত্রতত্র ক্যাম্পাসে ঢুকে’ শিক্ষার্থীদের ‘অত্যাচার ও গ্রেপ্তার’ করা হচ্ছে।
“এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পূর্ণ নীরবতা
শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে খর্ব করে সঙ্কটের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে বর্তমান প্রশাসন।”
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত ওই সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি তোলা হয়। এগুলো হল- শাহবাগে মশাল মিছিল থেকে আটক সাত শিক্ষার্থী এবং টিএসসি থেকে আটক তিন
শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার সকল শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে
হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইন বাতিল করতে হবে। কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার’ নিশ্চিত করতে হবে। এবং
ক্যাম্পাসে সব ধরনের ‘পুলিশি হয়রানি’ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পূর্ণ বাক স্বাধীনতা ও নিরাপদ ক্যাম্পা ‘ নিশ্চিত
করতে হবে।
সমাবেশে নূর বলেন, “যে কোনো সঙ্কটে সারা
দেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। এক সময় এমপি-মন্ত্রীরা ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে পায়ের ধুলো নিত। আর এখন
শিক্ষকরা পদের জন্য এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ধর্না দেয়। এটা
আমাদের জন্য লজ্জার।”
পুলিশকে জনগণের ‘মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে’ দেওয়া হয়েছে মন্তব্য
করে তিনি বলেন,
“পুলিশ
তো আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত। কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি?”
কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে নূর বলেন, “কারাগারের মতো জায়গায় একজন লেখককে মৃত্যুবরণ
করতে হয়েছে। আপনারা জানেন তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আমরা শুধু বলছি না, আন্তর্জাতিক ১৩টি প্রেস বলছে মুশতাক
হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করতে হবে।”
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।