ক্যাটাগরি

মুজিববর্ষ: ৮ ভূমিহীনকে বাড়ি দিচ্ছেন এক দম্পতি

সোমবার
বিকেলে এরই অংশ হিসেবে ওই পরিবারগুলোকে দুই শতাংশ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন পঞ্চগড়
জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মো. সাইফুর রহমান ও তার স্ত্রী
পারুল বেগম।

সদর উপজেলার
ধাক্কামারা ইউনিয়নের পূর্ব শিকারপুর গ্রামে আশ্রায়ণ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপকারভোগী
পরিবারের সদস্যদের ওই দম্পতিসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা রেজিস্ট্রি করে দেওয়া
জমি দেখিয়ে দিচ্ছেন।

এ সময় পুরাতন
পঞ্চগড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় বসবাসরত নুর নেহার (৬৫) বলেন, বাড়ি বাড়ি কাজ
করে কোনো মতে দিন কাটাই। দীর্ঘদিন ধরে রিকশাচালক এক ছেলেকে নিয়ে সরকারি খাস জমিতে থাকি
কিন্তু সামর্থ হয়নি নিজের বাড়ি করার।

হাসনাত-পারুল
দম্পতি তাদের জমি রেজিস্ট্রি করে বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় শেষ বয়সে মনের সেই দুঃখ
মিটল বলেও জানান তিনি।

এক মুক্তিযোদ্ধার
কন্যা সমিজা খাতুন (৪৫) বলেন, বাবার বাড়িতে থেকে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি, ছেলেটা ক্লাস
টেনে পড়ে। ২০ বছর ধরে মানুষের বাড়িতে কাজ করে প্রাপ্ত সামান্য টাকা ছেলে-মেয়েকে বড়
করার পেছনেই শেষ হয়েছে।

“নিজের
বাড়ির স্বপ্ন কখনও দেখার সাহস পাইনি। এবার সেই সাহসও হয়েছে।

“কিছুদিনের
মধ্যে ছেলেটা বোধহয় নিজের বাড়িতে থাকতে পাবে। আমিও শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারব।”

জেলা আওয়ামী
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মো. সাইফুর রহমান জানান, মুজিববর্ষে দলীয় একজন
কর্মী হিসেবে এটা আমাদের একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

“প্রত্যেক
পরিবারের জন্য আধাপাকা দুইটি কক্ষের সাথে একটি রান্নাঘর ও বাথরুম নির্মাণ করে আবাসনের
ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।”

প্রায় ২০
লাখ টাকা খরচের এ কাজ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন দেখাশোনা করছেন।

এ সময় জেলা
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছার রহমান রেজা, সহ-সভাপতি বাবুল খান, কামরুজ্জামান
খান রয়েল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান খান মিঠুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।