সোহেল
রানার আবেদনে বিচারপতি জাহাঙ্গীর
হোসেন ও বিচারপতি মো.
বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি
করে। চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রকে এর জবব দিতে
বলা হয়েছে।
আদালতে
সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
রাষ্ট্রের
এ আইন কর্মকর্তা পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতে সোহেল রানার জামিনে আপত্তি জানিয়ে বলেছি, এটা ভয়ঙ্কর একটি হত্যাকাণ্ড। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ মামলাটি নিয়ে
ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
“এই
মামলার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে নানা ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এমনকি তাদের জবাবদিহি পর্যন্ত করতে হয়েছে। ফলে এ মামলায় কোনোভাবেই
সোহেল রানা জামিন পেতে পারেন না।”
তবে
অভিযোগপত্র দেওয়ার পরও এ মামলার বিচার শুরু না হওয়ায় আদালত
উষ্মা প্রকাশ করেছে বলে জানান ডিএজি মো. বশির উল্লাহ।

২০১৩
সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে
দশ তলা রানা প্লাজা ধসে পড়লে অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন কয়েক হাজার
মানুষ। হতাহতদের
অধিকাংশই ওই ভবনে থাকা কয়েকটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
ওই
ঘটনায় পরদিনই সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। পাঁচ দিন পর বেনাপোল সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
তদন্ত
শেষে এ মামলায় সোহেল
রানাসহ ৩৮ জনকে আসামি
করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি এখন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ
আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
গত
বছর ১২ নভেম্বর এ
মামলায় নিম্ন আদালতে সোহেল রানার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর তিনি হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন।