সম্প্রতি অনুষ্ঠিত
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি বলেছেন, “চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জিতেছে আর হেরেছে
দেশের ভোটাররা। ভোট দিতে না পেরে ভোটাররা রাস্তায় কান্না করছে, এটা মেনে নেয়া যায় না।
“আওয়ামী লীগ দেশকে
পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকারে অধীনে
আর কোনো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে আগামী প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।”
জিয়া উদ্দিন বাবলু
বলেন, “আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করব। মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার আন্দোলনে
প্রয়োজনে প্রাণ দেব, কিন্তু মাথা নত করব না।”
ইভিএম নিয়ে সশংয় প্রকাশ
করে তিনি বলেন, “নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে শতভাগ ভোট পড়েছে, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ইভিএমকে আওয়ামী ইভিএমএ পরিণত করা হয়েছে। ইভিএম নয়, ইভিএম পরিচালনায় জড়িতদের পরিবর্তন
করতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ
চান কিনা এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশনের লাজ-লজ্জা
থাকলে তাদেরই উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভাষা আন্দোলনের মাসে মানুষ কথা বলতে পারে না। গণমাধ্যম প্রকৃত
সত্য তুলে ধরতে পারছে না। এছাড়া যে আইনে মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার লংঘিত হয় সে আইনের
পরিবর্তন চাই আমরা।”
সদ্য সমাপ্ত সৈয়দপুর
পৌর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মো. সিদ্দিকুল আলম (সিদ্দিক)
বলেন, “মাত্র দুই ঘণ্টার ভোটে প্রায় ১০ হাজার ভোট পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হলে বুঝতে পারছেন
জাতীয় পার্টি কত ভোট পেত? স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সরকার পরিবর্তন হয় না
কিন্তু আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে নিজেরাই তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। জোর করে জাতীয়
পার্টির বিজয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে।”
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম
সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এটিইউ তাজ রহমান বলেন, “প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন
কমিশন মেরুদণ্ডহীন। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা কার্টুনের মত আচরণ করছে।
আর পুলিশ প্রশানের আচরণ আওয়ামী লীগ কর্মীদের মত। এভাবে চলতে থাকলে সরকারি দল আর কোনো
নির্বাচনে প্রার্থী পাবে না।”