মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই অবস্থান চলাকালে সেখানে চারটি ট্রেন আটকা পড়ে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, জয়দেবপুর রেল ক্রসিংয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণ, ট্রেনের আসন বৃদ্ধি, জয়দেবপুর রেল জংশনকে আধুনিকায়ন এবং নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা বগি সংযোজন উল্লেখযোগ্য।
‘গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি’ সভাপতি সামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযুদ্ধা হাতেম আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, হোসনে আরা সিদ্দিকা জুলি, মোহাম্মদ শরীফ হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
সামসুল হক বলেন, এই স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন স্টপেজ না দেওয়ায় প্রতিদিন দূর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ। অন্য যেসকল ট্রেন থামে সেগুলোতে গাদাগাদি করে যাতায়ত করতে হয়। এছাড়া ভিড় ঠেলে মহিলাদের জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করা অনেকটাই দূরুহ হয়ে উঠেছে।
“তারপরও যেসব মহিলা ট্রেনে চড়তে সক্ষম হন তারা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত এবং উত্ত্যক্তের শিকার হন।
তাই তারা ১০ দাফা দাবি পূরণের জন্য কর্মসূচি পালন করেন বলে জানান।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, সংগঠনটির কর্মসূচি চলাকালে জয়দেবপুর স্টেশনে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন আটকে থাকে। এতে এই স্টেশন থেকে তুরাগ ট্রেন ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট, ধুমকেতু ৩৫ মিনিট, একতা ৪৩ মিনিট এবং যমুনা ৫০ মিনিট ছাড়তে বিলম্ব হয়।