বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ১-১ ড্র করেছে শেখ
জামাল। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা দ্বিতীয় স্থানে আছে। এক ম্যাচ বেশি খেলা বসুন্ধরা
কিংস ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট রহমতগঞ্জের।
লিগের শুরুর দিকে বসুন্ধরা কিংসকে চাপে রেখেছিল শেখ জামাল।
কিন্তু আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ড্রয়ের পর থেকে পথ হারাতে থাকে দলটি। গত ছয় ম্যাচে
এটি তাদের পঞ্চম ড্র।
বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে রহমতগঞ্জের গোলরক্ষককে
তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি শেখ জামালের ফরোয়ার্ডরা। পঞ্চম মিনিটে তারা সুযোগটিও
পেয়েছিল হঠাৎ করে। কিন্তু গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের
বুদ্ধিদ্বীপ্ত সেভে বেঁচে যায় রহমতগঞ্জ।
মাঝমাঠ থেকে সলোমন কিংয়ের লং বল ডিফেন্ডার মোহাম্মদ তারেক
হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ছুটছিল জালের দিকে। শেষ মুহূর্তে গোললাইন
থেকে ব্যাক ভলিতে আত্মঘাতী গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন লিটন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল পেতে পারত শেখ জামাল। ডি-বক্সের
জটলার ভেতর থেকে ওমর জোবের শট আটকে আবারও রহমতগঞ্জের ত্রাতা লিটন।
৪৯তম মিনিটে ভালিজনভ ওতাবেকের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় শেখ
জামাল। বাঁ দিক থেকে উজবেকিস্তানের এই মিডফিল্ডারের কর্নার বাঁক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে
জালে জড়ায়।
শেখ জামালের এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি উবে যায় ৫১তম মিনিটে।
শাহেদুল আলমের উচুঁ করে বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত টোকায়
সমতা ফেরান ক্রিস রেমি।
৭০তম মিনিটে জোবের শট পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশা বাড়ে আগের
ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে আসা শেখ জামালের।
ড্র ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকটি ধাক্কা খায়
শেখ জামাল। রেমিকে অযথা ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন দলটির গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড
সুলাইমান সিল্লাহ।
দিনের অন্য ম্যাচে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১১ ম্যাচে পাঁচ জয় ও চার ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে
এগিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে মোহামেডান; পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে সাইফ স্পোর্টিং।
ষষ্ঠ হারের তেতো স্বাদ পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে একাদশ স্থানে।