ক্যাটাগরি

সবজি দিয়ে ওটস বনাম দুধ দিয়ে ওটস

ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক সুস্বাস্থ্যের
জন্য সকালের নাস্তা গুরুত্বপূর্ণ। এতে দিনের অন্যান্য সময় অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা
কমবে, নিয়ন্ত্রণে করা যাবে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা। সেজন্য নাস্তাও হওয়া চাই পুষ্টিকর।

এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আদর্শ খাবার
হলো ওটস। দুধ কিংবা সবজি দিয়ে ওটস খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

এই দুটোর মধ্যে তুলনা যদি করতেই হয় তবে
কোনটি শ্রেষ্ঠ?

খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের
প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।

ওটস কী?

শষ্যজাতীয় খাবারের মধ্যে ওটস পুষ্টির
বিবেচনার প্রথমসারিতে। এতে নেই ‘গ্লুটেন’, পরিপূর্ণ শষ্য এবং ভিটামিন, খনিজ, ভোজ্য
আঁশ ও ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’য়েরও আদর্শ উৎস। ওটস আর ওটমিল দুটোরই আছে বৈজ্ঞানিকভাবে
প্রমাণিত স্বাস্থ্যগুণ। ওজন, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ
উপকারী এই খাবার। তৈরি করা সহজ, দামে সস্তা, সহজলভ্য এবং বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে
মিশিয়ে ওটস খাওয়া যায়।

ওটস’য়ের পুষ্টিমান

প্রতি ১০০ গ্রাম ওটস থেকে পাওয়া যায় ৩৮৯
ক্যালরি, পানির মাত্রা ৮ শতাংশ, প্রোটিন ১৬.৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৬.৩ গ্রাম, চিনি
নেই, ভোজ্য আঁশ ১০.৬ গ্রাম, চর্বি ৬.৯ গ্রাম।

ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা

ওটস’য়ে থাকা আঁশ ক্ষুধা নিবারণ করে অল্পতেই
এবং লম্বা সময় পেট ভরা রাখে। তাই সকালের নাস্তায় এটি খেলে দুপুরের খাবারের আগে কিছু
একটা খাওয়া ইচ্ছা দমন হবে। পাশাপাশি হজমতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও আঁশ অত্যন্ত
জরুরি একটি উপাদান। আবার এতে ক্যালরি ও চর্বি কম, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আদর্শ।

সবজি নাকি দুধ

দুটোই স্বাস্থ্যকর, তাই নির্দিধায় যে
কোনো একটি বেছে নিতে পারে। তবে সবসময় বেছে নিতে হবে ‘স্টিল-কাট ওটস’, কারণ এগুলো তুলনামূলক
কম প্রক্রিয়াজাত ফলে পুষ্টিমান বেশি। দুধ দিয়ে খেলে চিনি যোগ করা যাবে না।

সবজি মিশিয়ে খাওয়া ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের
সবজি মেশাতে হবে।

আর যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হয় তবে সবজি-ওটসের
সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন বেরি-ধরনের ফল, পিনাট বাটার ও বাদাম।

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্যকর ওটমিল খাওয়ার অস্বাস্থ্যকর ভুল
 

ওজন বাড়াতে চান!
 

ডায়েটের ছদ্মবেশী শত্রুরা
 

নারীর জন্য দরকারী খাবার
 

ওটস খিচুড়ি
 

ওটস পেঁয়াজু