করোনাভাইরাস
সংক্রমণ এড়াতে এবারের বইমেলা মাসব্যাপী নয়, হবে ১৫ দিনের।
স্বাস্থ্যবিধি
মেনেই মেলার আয়োজন করা হবে বলে মঙ্গলবার সিসিসি’র আন্দরকিল্লা কার্যালয়ে আয়োজিত এক
মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
২০১৯
সাল থেকে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে সম্মিলিত বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেন
সেসময়ের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ২০২০ সালেও এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারি
মাসে। চলতি বছর তা পিছিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে।
আগের
দু’বারের মতো এবারও বইমেলা হবে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম সংলগ্ন মাঠে।
সভায়
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র রেজাউল জানান, মেলা আয়োজক হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশন শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। যাবতীয় আয়োজন করবে চট্টগ্রামের সৃজনশীল
প্রকাশনা পরিষদ ও মেলা কমিটি।
বুধবার
সিটি করপোরেশনের টাইগার পাস কার্যালয়ে লেখক-প্রকাশকদের এক সভায় মেলা কমিটি পুনর্গঠন
করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায়
কয়েকজন লেখক ও প্রকাশক বলেন, মেলায় যাতে কোনোভাবেই ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী’ কোনো প্রকাশনা
স্টল বরাদ্দ না পায়।
লেখকদের
যাচাই বাছাই করে পুরস্কৃত করা, স্টলের পরিমাণ কমিয়ে পরিধি বাড়িয়ে ও ঢাকার বাছাইকৃত
প্রকাশকদের সমাগম ঘটানো এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আলোচক নির্ধারণ ও সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানকে যাতে প্রকৃত সাংস্কৃতিক সংগঠন দিয়ে আয়োজন করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও
অনুরোধ করেন তারা।
মেয়র
রেজাউল বলেন, “গতবারের বই মেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী প্রকাশনা সংস্থা ঢুকলো কীভাবে?
এবার যদি এরকম হয় তাহলে সাথে সাথে স্টল বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
সভায়
উপস্থিত বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, লেখক, কথা সাহিত্যিক, কবি, গবেষকসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মনোনীতদের এবার সিসিসি
সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টল সজ্জা করা হবে।”
সভায়
বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও প্রকাশক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকাশক জামাল উদ্দীন,
সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের শাহ আলম নীপু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, কবি
ওমর কায়সার, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ছড়াকার মোদ্দাচ্ছের আলী, কবি সেলিনা শেলী,
নাজিম উদ্দিন শ্যামল, লেখক শামসুল হক, সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত
ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহিতুল আলম,
একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার, জ্যেষ্ঠ
সাংবাদিক শুকলাল দাশ, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক আব্দুল হালিম
দোভাষ, অঞ্চল চৌধুরী, অধ্যাপক গোফরান টিটু, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন
সাকী ও সাইফুল আলম বাবু, কাউন্সিলর শহিদুল আলম, নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, নাজমুল
হক ডিউক ও পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল
চৌধুরী টিপু।