ক্যাটাগরি

বিএনপির সমাবেশের আগে রাজশাহীতে বাস বন্ধ

‘হামলার আশঙ্কায়’ এই ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে বলে মালিক-শ্রমিকরা বললেও বিএনপির ভাষ্য এটি তাদের ‘সমাবেশ বানচালের কৌশল’।

রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ
সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, “মঙ্গলবার রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সড়কে
বিশৃঙ্খলা ও যানবাহনে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে সোমবার দুপুর থেকে বাস চলাচল
বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে কোনো বাস রাজশাহীতে আসছে না এবং রাজশাহী থেকে যাচ্ছে না।”

উত্তরের ১০ জেলার গাড়ি রাজশাহী
যায় বগুড়া হয়ে। কোনো গাড়ি বগুড়া অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ঠেকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন
বগুড়ার শাকপালা বাসস্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার মোবারক হোসেন।

তিনি বলেন, “বাস রাজশাহীর দিকে
যাওয়ার চেষ্টা করলে থামিয়ে রেকার দিয়ে টেনে নেওয়ার জন্য রেকার আনা হয়েছে।”

তবে শাকপালায় দায়িত্বরত ট্রাফিক
পুলিশের সার্জেন্ট মাহবুর রহমান বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে রেকার এনেছেন তারা।

“বাস বন্দ কি খোলা তা বলতে পারব
না। ওটা বাসমালিকদের বিষয়।”

বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন
গন্তব্যের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

শাকপালা বাসস্ট্যান্ডে আসা তোফাজ্জল
নামে এক যাত্রী বলেন, “রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে কাজ আছে। কিন্তু এখানে এসে শুনছি বাস
বন্ধ।”

বাস বন্ধের কারণ সম্পর্কে রাজশাহী
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন বলেন, বগুড়ায় তাদের এক শ্রমিককে
মারধর করা হয়েছে। মারধরকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সড়ক
সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন লেবু বলেন, “সমাবেশ ঘিরে যদি কেউ গাড়ি ভাঙচুর করে তার দায় কে
নেবে? তাই মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়ে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কেউ গেলে নিজ দায়িত্বে
যেতে পারে।”

বাস বন্ধ করাকে ‘সমাবেশ বানচালের
কৌশল’ বলে মনে করছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

তিনি বলেন, “সমাবেশ বানচাল করতে
সরকার কৌশলে মালিক ও শ্রমিকদের দিয়ে রাজশাহীর সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগেও সমাবেশের আগে এই রকম করা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে
পারে।”

রাজশাহী কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপিকে
এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে
দেশের ছয় শহরে বিভাগীয় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

শনিবার খুলনার সমাবেশের আগের
দিনও খুলনা জেলার ১৮টি সড়কে ২৪ ঘণ্টা পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ
মালিক সমিতি। সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনার দাবি, “বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র
করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।”