মঙ্গলবার শহরটিতে প্রতিবাদকারীরা এগিয়ে আসা পুলিশের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মারার পর পুলিশ গুলি করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক।
তিনি জানান, তাজা গুলিতে চার জন আহত হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের রবার বুলেটে আরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এই শিক্ষক বলেন, “তারা এমন ভাব করছে যেন তারা যুদ্ধক্ষেত্রে আছে। আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি দুঃখবোধও করছি।”
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওই এলাকার হাসপাতাল ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্ররাও টেলিফোন কলের উত্তর দেননি।
এদিন দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের বিভিন্ন অংশে কয়েকশত প্রতিবাদকারী ব্যারিকেডের পেছনে অবস্থান নিয়ে সামরিক শাসন বিরোধী শ্লোগান দেয়। তাদের অনেকের মাথায় শক্ত টুপি ও হাতে নিজেদের বানানো ঢাল ছিল।
“আমাদের নির্যাতন করা হলে বিস্ফোরণ ঘটবে। আমাদের আঘাত করা হলে পাল্টা আঘাত হানা হবে,” তারা শ্লোগান তোলে।
নগরীর চারটি পৃথক অংশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। তবে এখানে কেউ আহত হয়েছেন বলে খবর হয়নি।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে। ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হঠিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারবন্দি করে রাখে।
এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। অভ্যুত্থান পর থেকে এ পর্যন্ত জান্তাবিরোধী অন্তত ২১ প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন। একজন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।