ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে পারে: সিডিসি

এই রূপগুলি ছড়িয়ে পড়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কর্মসূচীর অগ্রগতিও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রধান ডা. রোশেল ওয়ালেনস্কি।

বিবিসি জানায়, সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ এর উপাত্ত দেখে তিনি উদ্বিগ্নবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত সপ্তাহে একদিনে প্রায় ৭০ হাজার নতুন সংক্রমণ নথিবদ্ধ করা হয়েছে যা ‘অনেক বড় সংখ্যা’। 

প্রায় একই সময় একদিনে প্রায় দুই হাজারের মতো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

ডা. ওয়ালেনস্কি বলেন, “অনুগ্রহ করে পরিষ্কারভাবে আমার কথা শুনুন: সংক্রমণের এই স্তরে, যখন রূপগুলি ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা অতি কষ্ট করে যে অবস্থা তৈরি করেছি তা পুরোপুরি হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে আছি। এই রূপগুলি আমাদের জনগণ ও আমাদের অগ্রগতির জন্য খুব বাস্তব একটি হুমকি।”

করোনাভাইরাসের অনেক বিভিন্ন ধরনের ধরন বা রূপ রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অতি সংক্রামক কয়েকটি ধরন নিয়েই বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ও ব্রাজিলে প্রথম শনাক্ত হওয়া ধরনগুলো অন্যতম।  

যুক্তরাজ্যে প্রথম পাওয়া অতি সংক্রামক বি.১.১.৭ ধরনটি চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের প্রধান ধরন হয়ে উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সিডিসি। 

এইসব তথ্য জানিয়েছে ডা. ওয়ালেনস্কি বলেন, “জনগণকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষার জন্য আমরা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ঠিক যে পদক্ষেপগুলো নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম রাজ্যগুলো সেখান থেকে সরে গেছে এমন প্রতিবেদনগুলো দেখে আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন। 

“এই দেশে সংক্রমণের সম্ভাব্য চতুর্থ ঢেউ বন্ধ করার সামর্থ্য আমাদের আছে। অনুগ্রহ করে আপনাদের বিশ্বাসে দৃঢ় থাকুন।” 

সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দুই কোটি ৮০ লাখেরও বেশি করোনাভাইরাস রোগীর তথ্য নথিবদ্ধ করেছে এবং কোভিড-১৯ জনিত কারণে দেশটিতে পাঁচ লাখেরও বেশি লোক মারা গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যে দেখা গেছে।