মঙ্গলবার
বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’
ব্যানারে এই মিছিল বের হয়।
মিছিলের
আগে সমাবেশ থেকে ব্যবসায়ী-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাক আহমেদের মুত্যুর বিচার বিভাগীয়
তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো
হয়।
ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাকের মৃত্যুর পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো
মশাল মিছিল বের করে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধলে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের
বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
সমাবেশে
বক্তারা গ্রেপ্তার ৭ জনের মুক্তি দাবি করেন। নইলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
দেওয়া হয়।
সমাবেশে
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান শিক্ষকদের সমালোচনা
করে বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধরে নিয়ে যায়, তারা (শিক্ষক)
নির্বিকার। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো লজ্জা নেই।”
ছাত্র
ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু বলেন, “দেশে যখন স্বৈরাচারী শাসন চলে, তখন সব কাঠামোতে তার
প্রভাব পড়ে। তারই প্রেক্ষাপটে আমাদের সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আজ পতন ধরেছে।”
সমাজবিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, “পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু
আপনারা আপনাদের কাজ না করে সীমা অতিক্রম করলে জনগণ আপনাদের ছেড়ে দেবে না।”
বিক্ষোভ
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যোগে দেন। এছাড়া বাম ছাত্র
সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও তাদের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।