মঙ্গলবার দুপুরে শিশু-কিশোরদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে আমাদের শিশুদের জন্য কি সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, একটা প্রেমের দেশ, একটা স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি? তখন নিজের কাছে একটা ঘৃণা আসে, ধিক্কার আসে যে, না আমরা সেটা করতে পারিনি।
“আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে মানুষের মতো। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগত তৈরি করা সম্ভব হবে। বার বার করে আমার মনে হয়, শিশুদের জন্য আবাসস্থল না করতে পারায় দায় আমাদের।”
কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণীর এই অনুষ্ঠান হয়।
শিশুদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। আমরা কিছুদিন পরে হয়ত পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। এই সময়ে কোভিডের মধ্যে আমাদের অনেক বহু গুণী মানুষ চলেও গেছেন। আমরা দেখে যেতে চাই সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ শিশুদের জন্যে সুন্দর, ন্যায়ভিত্তিক, সত্যভিত্তিক জগৎ আমরা তৈরি করতে পেরেছি, আনন্দময়-প্রেমময়। তোমাদের মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যত দেখতে পাই।”
শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে টেলিভিশনে ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠান চালুর কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, “অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অনেক শিল্পী নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আমি জানি অনেকে রাজনীতি অঙ্গনে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। এটা যখন বন্ধ হয়ে যায় তারপরেই জিয়া শিশু একাডেমি ও শাপলা কুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরু হয়।”
মির্জা ফখরুল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্য সেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মণ্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমী সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ দেওয়া হয়।
সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং মাশুক সিদ্দিকী ও নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একাডেমির পৃষ্ঠপোষক অ্যালবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোৎস্না বক্তব্য দেন।