শিক্ষা
উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী
লীগের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার
পৃথক বার্তায় আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা
উপমন্ত্রী তার শোক বার্তায় বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে এইচ টি ইমাম গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেন। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
“বঙ্গবন্ধু
সরকারের পুরো সময়টাও তিনি একই পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। উনার মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারাল।”
চট্টগ্রাম
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক
আ জ ম নাছির
উদ্দীন এক শোক বার্তায় বলেন, এইচ টি ইমাম ১৯৭১
সালে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব তিনি। তার অবদান জাতি সবসময় ‘শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে’।
চট্টগ্রাম
নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দীনও পৃথক বিবৃতিতে এইচ টি ইমামের
মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকার
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে এইচ টি ইমামের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল
৮২ বছর। তিনি কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের
সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এইচ টি ইমাম ২০১৪
সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।