সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন
নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোরকে যারা পুরনো প্রতিবেদন মুছে ফেলার চাপ প্রয়োগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে
যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “অশুভ শক্তির এই চাপ শুধু দেশে মুক্ত
গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় সরকারের আন্তরিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে না, গণতন্ত্র সুসংহত
করার প্রচেষ্টাকেও বাধাগ্রস্ত করবে।”
তারা বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে
ডিআরইউর ২০ জন সদস্য কাজ করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের সঙ্গে এসব সদস্যদের
স্বার্থ জড়িত রয়েছে।
চাপে নত হব না: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদক
সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের বিবৃতি
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী
ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব
কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে
বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব
সংবাদমাধ্যমের মত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন। এখন, এতদিন
পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভুত কায়দায় চাপ
দেওয়া হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল
নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে।
সেখানে বলা হচ্ছে, ওই সব প্রতিবেদন ‘ডিলিট’ না করলে
মামলা করা হবে। মামলা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মানহানির অভিযোগে। সব নোটিস
মেলালে ক্ষতিপূরণ দাবির অংক দাঁড়ায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বরিশালের নোটিসদাতা ইতোমধ্যে আদালতে মামলার আবেদনও
করেছেন।
চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয় জানিয়ে সংবাদ
সম্মেলনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন,
“বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই;
সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত
হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?
“আমাদের বার বার বলা হয়েছে, অন্যরাও নাকি এ বিষয়ে
তাদের প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলেছে। বিভিন্নভাবে তদবির করানো হয়েছে প্রভাবশালীদের দিয়ে,
যাদের মধ্যে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও আছেন। বলা হয়েছে, তারা সরিয়ে ফেলেছেন,
আমরা কেন তা করছি না। দীর্ঘদিন নানাভাবে চেষ্টার পরও প্রতিবেদন সরাতে রাজি করাতে
না পেরে এখন তারা চাপ দেওয়ার অদ্ভুত এক কৌশল নিয়েছেন।”
ডা. এইচ বি এম ইকবাল নিজে কোনো নোটিস পাঠাননি। বিভিন্ন
জেলা থেকে যারা নোটিস পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের ডা. ইকবালের বন্ধু, শুভাকাঙ্খী
হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে চাপ প্রয়োগকারীদের শাস্তি দাবি বিএফইউজের
প্রতিবেদন সরাতে চাপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: সিইউজে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ‘অনৈতিক’ চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদ বিজেএসসির