কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও নোয়াখালীর বশিরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে যুবদলের উদ্যোগেপ্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়ে ১১টা ৪০ মিনিটে শেষ হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদলের এই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি ছিলেন।
ওই সমাবেশে যুবদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু বক্তব্যও দেন।
দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ বলেন, “সমাবেশ শেষে ওঁত পেতে থাকা পুলিশ ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।”
তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রফিকুল আলম মজনু ছাড়াও রয়েছেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, ফতুল্লা ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু খালেক টিপু, বন্দর থানার মাহবুব, রূপনগরের মো. ফাহিম, সূত্রাপুরের সৌরভ রাসেল, কামরাঙ্গীর চরের দিলগণি, কাফরুলের মো. ওয়াহিদ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের তরিকুল ইসলাম রুবেল, আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, মো. সাগর, ধামরাইয়ের মো. শিপলু, মোশাররফ হোসেন ও কেরানীগঞ্জের মো. রুবেল প্রমুখ।
গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। পুলিশের সাঁজোয়া যান, রায়ট কার, জলকামানের গাড়িও ছিল প্রেস ক্লাবের পূর্ব দিকের রাস্তায়।