এক শোক বার্তায় সরকারপ্রধান
বলেছেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক সার্ভিসে এ এইচ টি ইমামের অবদান ‘স্মরণীয়’ হয়ে থাকবে।
“মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পুরো সময়টাও তিনি একই পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।”
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে তার মৃত্যু হয় এইচ টি ইমামের। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তিনি কিডনির জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত কিছুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের চাকরিতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন এইচ টি ইমাম। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিবও হন তিনি।
এইচ টি ইমাম ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীর
শোকবার্তায় বলা হয়, “২০০৯ সাল থেকে জনাব ইমাম প্রশাসনিক উপদেষ্টা হিসেবে এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অত্যন্ত প্রজ্ঞার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করেন। জাতির পিতার আদর্শের এই কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দলকেও সমৃদ্ধ করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী তার শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ
করেন।