বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২-১ গোলে জিতেছে আবাহনী। ১২ ম্যাচে সাত জয় ও চার ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে তারা।
সমান ১২ ম্যাচে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৩৪। আবাহনীর জয়ে ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
ছয় ড্র ও চার হারের পর শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে আগের রাউন্ডে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল উত্তর বারিধারা। আবারও পথ হারানো দলটি ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে দশম স্থানে।
সপ্তদশ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত আগের রাউন্ডে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে আসা আবাহনী। সাদউদ্দিনের ক্রসে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের হেড ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক।
২৬তম মিনিটে স্পট কিকে আবাহনীকে এগিয়ে নেন ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌজা ফিলহো। জুয়েল রানাকে ডি-বক্সে মোহাম্মদ সোহেল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
উত্তর বারিধারার সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় ৪৪তম মিনিটে। মাহমুদ সাইদ আব্দেল রহিমের জোরালো শট লাফিয়ে ফেরান শহিদুল আলম সোহেল।
গোছালো আক্রমণে ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো লং পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেলফোর্ট আড়াআড়ি বল বাড়ান ফাঁকায় থাকা জুয়েলকে উদ্দেশ করে। কিন্তু বল আগেই উত্তর বারিধারার ডিফেন্ডার সাইদোস্তোন ফজিলভের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
৭০তম মিনিটে গোলরক্ষকে একা পেয়ে যান রাফায়েল অগাস্তো। কিন্তু ভারসাম্য হারিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান এই ব্রাজিলিয়ান। দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে বাইরে মেরে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন বেলফোর্ট।
শেষ দিকে আবাহনীর রক্ষণে ভীতি ছড়ায় উত্তর বারিধারা। ৮২তম মিনিটে আব্দেল রহিমের বাইসাইকেল কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান শহিদুল। ছয় মিনিট পর মিশরের ডিফেন্ডার রহিমের আরেকটি সাইড ভলি আঙুলের টোকায় কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দলের ত্রাতা গোলরক্ষক।
শেষ মুহূর্তে গোলের দেখা পায় উত্তর বারিধারা। জিন্টু মিয়ার আড়াআড়ি ক্রস থেকে প্লেসিং শটে শহিদুলকে পরাস্ত করেন রহিম।
দিনের অন্য ম্যাচে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। তিন হার ও এক ড্রয়ের পর জয়ে ফেরা শেখ রাসেল ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারা পুলিশ এফসি ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে অষ্টম স্থানে।