ম্যাচের প্রথম দিনে মালিকের টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার আনন্দ কিছুক্ষণ পরই রূপ নেয় বিষাদে। ম্যাচের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৪ বছরের ইতিহাসে তিনি মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার, অভিষেক টেস্টে যিনি আউট হলেন ম্যাচের প্রথম বলেই।
মালিকের আগে এই তেতো স্বাদ পেয়েছিলেন ১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জিমি কুক ও ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিওন গ্যারিক।
দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্যতে বিদায় নিয়ে মালিক পেলেন ‘পেয়ার।’ ছবি : ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট।
ম্যাচের চার ইনিংস মিলিয়ে অভিষেক টেস্টে ‘গোল্ডেন ডাক’ পাওয়া একাদশ ওপেনার মালিক।
মালিকের অভিষেক আরও দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় দলের দ্বিতীয় ইনিংসে। এবার যদিও প্রথম বলে আউট হননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি। বিদায় নেন ৩ বলে শূন্য করে। পূর্ণ হয় ‘পেয়ার।’
অভিষেকে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়া ক্রিকেটার এমনিতে কম নয়, ৪৫ জন। তবে সেই তালিকায় ভিড় লোয়ার অর্ডারদের। ওপেনার এখানে বিরল। অভিষেকে দুই ইনিংসেই ওপেন করে জোড়া শূন্যের স্বাদ মালিক ছাড়া পেয়েছেন আর কেবল ৪ জন।
টেস্ট ক্রিকেটের জন্মের ১০৮ বছর পর প্রথম কারও হয় এই অভিজ্ঞতা। ১৯৮৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ‘পেয়ার’ পান নিউ জিল্যান্ডের কেন রাদারেফার্ড। এরপর ১৯৯০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই এটির শিকার হন পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার, ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ডার্ক ভিলিওন ও ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা।
রাদারফোর্ড পরে খেলেছেন আরও ৫৫ টেস্ট। আনোয়ার খেলেছেন আরও ৫৪টি, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাকিস্তানের ইতিহাসের সেরা ওপেনারদের একজন হিসেবে। ভিলিওনের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে ২ টেস্টে, চন্দ্রিকা থমকে গেছেন ৫ টেস্টে।
মালিক দুই শূন্য দিয়ে শুরুর পর রাদারফোর্ড-আনোয়ারের পথে এগোবেন নাকি ভিলিওন-চন্দ্রিকা পথে, সেটি বলে দেবে সময়ই।