গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডে পা রাখার পর বৃহস্পতিবার প্রথম অনুশীলন করল বাংলাদেশ দল। লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত মাঠে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আলাদা সময়ে অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। প্রতি গ্রুপে ছিলেন ৫ জন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের ২ জন সদস্য। ২ ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ ছিল প্রতি গ্রুপের জন্য।
প্রথম দিনের অনুশীলনে জোর ছিল ফিল্ডিংয়ে। ছবি : বিসিবি।
অনুশীলন শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানালেন, প্রথম দিনের অনুশীলনে বেশি জোর ছিল ফিল্ডিংয়ে।
“আজকের অনুশীলনে সবার আগে আমরা ফিল্ডিং নিয়ে বেশি কাজ করেছি। শর্ট ক্যাচ, হাই ক্যাচ নিয়ে…এখানে আবহাওয়া ও বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। এজন্যই ক্যাচিং করা। এরপর আমরা ছোট ছোট সেশনে ব্যাটিং-বোলিং করেছি।”
“পরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি, যেহেতু গত ৭ দিন ফিটনেসের কাজ খুব বেশি করতে পারিনি। ট্রেনারের নিদের্শা অনুযায়ী রানিং করেছি। সামনে যতদিন সময় আছে, ছোট ছোট প্র্যাকটিস করে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।”
কিটব্যাগ অবশেষে খোলা হলো! সাইফের স্বস্তির হাসি। ছবি : বিসিবি।
ব্যাটিং-বোলিং ঘষামাজা দিয়ে সিরিজের প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল দলের। সফরে এবার দলের লক্ষ্য নিউ জিল্যান্ডে জয় খরা কাটানো। কিউইদের বিপক্ষে তাদের দেশে কোনো সংস্করণেই কখনও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে যে কথা বলে গেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সেই লক্ষ্যের কথাই আবার উঠে এলো সাইফের কণ্ঠে।
“প্রত্যাশা অবশ্যই থাকবে। ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। দিনটি যদি আমাদের হয়, সবাই যদি ভালো খেলতে পারি, ফল অবশ্যই আমাদের পক্ষে কথা বলবে। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিও আছে। যেহেতু এর আগে আমাদের প্রাপ্তির খাতা একদমই শূন্য, আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিরিজ থেকে কিছু নিয়ে যেন দেশে ফিরতে পারি।”
অনুশীলন শুরু হলেও কোয়ারেন্টিন থেকে এখনও পুরো মুক্তি মেলেনি ক্রিকেটারদের। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে গ্রুপ ধরে এভাবে অনুশীলন চলবে ৭ দিন। এরপর পুরোপুরি মুক্তি। কুইন্সটাউনে ৫ দিনের ক্যাম্পে নিবিড় অনুশীলনে প্রস্তুতি নেবেন ক্রিকেটাররা।