এভাবে
নগর জুড়ে ঘুরে ঘুরে ইয়াবা বেচাকেনায় জড়িত এক বাস হেলপারকে নগরীর ডবলমুরিং থানার চৌমুহনি
এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার
রাতে মো. রাসেল (২৪) নামে ওই হেলপারের সঙ্গে মো. আল-আমীন ওরফে বাবু (২৪) নামে আরও এক
যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের
দুজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতিতে। তারা চট্টগ্রামে থাকেন আকবরশাহ থানার নিউ মনছুরাবাদ
এলাকায়।
ডবলমুরিং
থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীতে চলাচলকারী ১১
নম্বর রুটের বাস হেলপার হিসেবে কাজ করলেও রাসেল মূলত ইয়াবা কারবারি। যাত্রীবেশে মাদকসেবীদের
বাসে তুলে নিয়ে সে ইয়াবা সরবরাহ করে।”
ক্রেতা
সেজে চৌমুহনী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাসেল ও আল আমীনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে
জানান তিনি।
গ্রেপ্তার মো. রাসেল
অভিযানে
অংশ নেওয়া ডবলমুরিং থানার এসআই শরীফ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাসেলের
সঙ্গে ইয়াবাসেবীরা যোগাযোগ করলে তাদের বাসের অবস্থান বলে দেয় রাসেল। সে স্থানে গেলে
ক্রেতাকে যাত্রী হিসেবে বাসে তুলে নেয়। নামার সময় যাত্রীবেশী থাকা ওই ইয়াবাসেবীর হাতে
ইয়াবা দিয়ে দেয়।”
তিনি
বলেন, “বুধবার ইয়াবা কেনার কথা বলে রাসেলকে ফাঁদে ফেলা হয়। চৌমুহনি এলাকায় একটি হোটেল
গিয়ে ইয়াবা নিতে আসার কথা বললে আল আমীন সেখানে যায়। আমার সাথে গিয়ে কথা বলে এবং টাকা
থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাসেলকে ফোন করে যেতে বলে।”
রাসেল
হোটেলে যাওয়ার পর দুজনকে আটক করে তল্লাশি করে পুলিশ। এসময় রাসেলের পকেটে ২ হাজার ৫০০
এবং আল আমীনের পকেটে ১ হাজার ৮০০টিসহ মোট ৪ হাজার ৩০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান
এসআই শরীফ।
গ্রেপ্তার
দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
ওসি
মহসিন জানান, রাসেলের বাবা-মা দুজনই মাদক কারবারি।
রাসেলের
বাবা শাহজাহানের বিরুদ্ধে ছয়টি এবং মা শাহেদার বিরুদ্ধে তিনটি করে মাদক মামলা আছে বলে
জানান এসআই শরীফ।
তিনি
বলেন, “তারা চট্টগ্রামে থাকলেও রাসেলের সাথে থাকেন না। আলাদা আলাদা বাসায় থেকে তারা
মাদক ব্যবসা করেন।”